করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার হার বাড়বে, এমন আশঙ্কা করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। জীবিকার সন্ধানে অনেকের ঠিকানা পরিবর্তন এবং পরিবারগুলোর আর্থিক সঙ্কটকে বরে কারণ বলছেন তারা।
মার্চ মাসের ১৭ তারিখ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ বছরের পিইসি এবং জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে না সরকার।
গেল মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিলেবাস শেষ হয়েছিলো ৩০ শতাংশ। লকডাউনের মধ্যে সংসদ টিভি, রেডিও এবং ফোনের মাধ্যমে শেষ করেছে ৪০ ভাগ। অক্টোবর বা নভেম্বরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে বাকি ৩০ ভাগ সিলেবাস শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব।
২০০৯ সালে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার ছিলো ৪০ ভাগ। ২০১৮ সালে তা নেমে এসেছিল ১৮ ভাগে। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আবার প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার এবং বিশেষজ্ঞরাও।
করোনার কারণে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অনেকে কাজ হারানোয় অনেকে শহর ছেড়েছেন। অনেকেই রয়েছেন আর্থিক সঙ্কটে। শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার ক্ষেত্রে এসবকেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।