• মে ২, ২০২৪ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

বাঙালির মনস্তত্ত্বে আদিবাসী

সেপ্টে ১৪, ২০২০

১.
‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দৌরাত্ম্যে’ বা এ-জাতীয় কোনো ভাবনা বোঝাতে কোনো নৃবিজ্ঞানী বা সমাজবিজ্ঞানী কোনো টার্মিনোলজি ব্যবহার করেছেন কিনা আমার জানা নেই। মাথাগুনতি সংখ্যার আধিক্য কিংবা অল্পসংখ্যকেরও হাতে অস্ত্রের আধিক্য নিশ্চয়ই বড় রকমের শক্তি বা সামর্থ্য বা ক্ষমতা যাই বলি না কেন-যোগায়। অন্যের চেয়ে আমার শক্তি বেশি-এই বোধ ঐ শক্তির ফলাফল পরীক্ষা করে দেখতে চায় এবং শেষমেশ একটা সিদ্ধান্তেও এসে পৌঁছুতে চায় হয়তো বা। যে কোনো সমাজে তার অভ্যন্তরীণ বিন্যাস পর্যবেক্ষণ করলে এই সত্য ধরা পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। কেবল এটুকুই নয়, রাষ্ট্রশক্তির মনস্তত্ত্বেও যে ঠিক এমনটাই ঘটে থাকে তা বোঝার জন্য আণবিক বোমার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ কিংবা গত তিরিশ-চল্লিশ বছর ধরে বিশ্ব-রাজনীতিতে আমেরিকার মুরব্বিয়ানা অথবা সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির উদাহরণই যথেষ্ট। পশুপ্রাণের জৈবধর্মের বোধ (রহংঃরহপঃ) গত কারণ সম্ভবত এই রকম আচরণের পেছনে কাজ করে: হায়না খুব হিংস্র হলেও ভীতু প্রাণী, দলবদ্ধ না হলে কোনো শিকার ধরতে পারে না; এক বিঘত আকারের মাছ পিরান্হা চিরক্ষুধার্ত ও মহারাক্ষুসী হলেও এত ভয়কাতুরে যে শ’য়ে শ’য়ে ঝাঁক বেঁধে না বেরুতে পারলে কোনো শিকারের মুখোমুখিই হবে না। পশ্বাচারের ক্ষেত্রে সংখ্যার প্রাবল্যশক্তি টিকে থাকার জন্য পূর্বশর্ত হিসেবে নিশ্চয়ই বহু প্রাণীর কাছে বাস্তবতা। কিন্তু দু- পেয়ে খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারা যে প্রাণীটি চার -পেয়ে পশুর থেকে আলাদা হয়ে গেল প্রায় তিন লক্ষ বছর আগে, সে তো তার পর থেকে পশুত্ব থেকে দূরে সরতে সরতে মনুষ্যত্বের পানে এগিয়েছে। মানুষ হওয়ার বা মনুষ্যত্বের স্পষ্ট ও স্বচ্ছ সংজ্ঞা কিংবা তার ছূড়ান্ত প্রকাশ নিয়ে যত তর্ক বা মতবিভেদ থাকে থাকুক, কিন্তু একটি ব্যাপারে নিশ্চয়ই সকলে একমত হবেন যে, মানবগোষ্ঠী এখনও চলিষ্ণু, বিগ্ ব্যাং (ইরম ইধহম) সদৃশ মহাজাগতিক প্রলয়নাদে বিশ্বপ্রপঞ্চ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত মানুষের স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব, সামনে বা পেছনে বা আগু পিছু তালে তাকে চলতেই হবে। তা হলে পূর্বাপর বিবেচনায়ও সভ্যতার গতিধারার আলোকে এই প্রত্যাশাই নিতান্ত যুক্তিযুক্ত হয় যে, মানবসমাজের চলাটা ‘মনুষ্যত্ব’ অর্জনের দিকে অগ্রসর হতে বাধ্য তা সে ‘মনুষ্যত্ব’ শব্দের সংজ্ঞা ও মূল্যবিচার যেমনই আপেক্ষিক বা তর্কসম্ভব হোক না কেন। মনুষ্যত্বের সাধনা তাই সর্বদাই শক্তিমদমত্তার বিপরীতে অবস্থান নেয়। তাই যদি না হতো, তবে সভ্যতার ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধের চেয়ে চেঙ্গিস খানের গুরুত্ব বেশি হতো।
কিন্তু সম্ভবত মনুষ্যস্বভাবের মধ্যেই এমন কিছু ধ্বংসবীজ রোপণ করে দেওয়া আছে যে, মানুষকে সে সবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতেই ‘মানুষ হাওয়া’র দিকে এগোতে হয়। এ দেশীয় শাস্ত্রজ্ঞানে ওগুলোকেই ‘ষড়রিপু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে আমার ধারণা। খোসা ছাড়ালে দেখা যাবে, সকল রিপুরই সারাৎসারে শক্তির প্রতাপ সম্বন্ধে একটা ধারণা লুকিয়ে রাখা আছে, কারণ কোনো রিপুরই প্রকাশ বলপ্রয়োগ ও কর্তৃত্ব ঘোষণা ব্যতীত সম্ভব নয়। মানুষই যেহেতু সভ্যতা গড়ে, আবার ভাঙেও, তাই মানুষ একই সঙ্গে ষড়রিপুর দাসও বটে, আবার ষড়রিপুজীয়ও বটে। বিষয়টি একমুখীও নয়, একরৈখিকও নয়, যথেষ্ট জটিল ও বিস্তৃত।
শেষ বলবার কথাটা সংক্ষেপে এমনটাই দাঁড়ায় যে, শক্তিমস্ত মানুষ বা সমাজ বা রাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে সভ্য হতে হতে মনুষ্যত্বের পূর্ণ মহিমা স্পর্শ করতে পারবে, অথচ এই সমগ্র যাত্রাপথে তার প্রবলতম বাধা তার ভেতর থেকেই গড়িয়ে ওঠা তার ‘শক্তি’। শক্তিমান তার শক্তির দম্ভ প্রকাশ করবে না, এর চেয়ে কঠিন আত্মশাসন খুব কমই আছে।
২.
এই প্রস্তাবনার প্রয়োজন পড়ল নিজের কাছেই এ কথা পরিষ্কার করে বোঝাতে যে, বাংলাদেশে যেহেতু বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই বহুত্বের সংঘবদ্ধ শক্তির দৌরাত্ম্যে প্রকাশকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না; কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও প্রমাণিত হয়ে যায় যে, সে এখনও ‘সভ্য’ হয়ে ওঠেনি এবং মনুষ্যত্ববোধের চর্চা তার আচরণে স্পষ্ট নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের উপলব্ধিতে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে যে বাস্তবতা ধরা পড়ে তার মধ্যে ভ্রান্তি নেই, কিন্তু সে মনুষ্যোচিত সভ্য নয় বলে বুঝতে পারে না যে নিরঙ্কুুশ ক্ষমতালিপ্সা তাকে বর্বরতায় নামাবে, নীতিজ্ঞানহীন পশুত্বে ডোবাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের অহংবোধ তাকে ভুলিয়ে দেয় সংখ্যালঘুর প্রতি মমতা ও দায়িত্ববোধই হলো তার চারিত্র্য শক্তি ও নৈতিকতা। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাঙালির সবচেয়ে বড় শুক্র তার ঐ আত্ম-অহমিকা যে, মাথাগুনতিতে সবচেয়ে দলে ভারী সে এবং সে তখন তার বাইরে অন্য কাউকে আর দেখতেই পায় না বা দেখতেই চায় না। শক্তির গুরুভারে সে তার চেয়ে যে-ই দুর্বল তাকেই পিষে মারতে চায়।
দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার বাংলাদেশ নামে এই রাষ্ট্রের সমাজদর্শনে কতখানি দৃঢ়মূল তা দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাপরিস্থিতি, জনসাধারণের সামাজিক ও রাজনৈতিক আচরণ, সংসদের অভ্যন্তরে ও বাইরে রাজনীতিকদের বক্তব্য ইত্যাদি নিতান্ত সাদা চোখে দেখলেও তাতে বোঝা যায়। রাষ্ট্র ও সমাজের এই চেহারার জন্য যারা দায়ী তারা বাঙালি তো বটেই, তার ও বেশি বাংলাদেশি বাঙালি এবং তারাই এই রাষ্ট্রের পরিচালক। আমাদের এমন সর্বব্যাপী শক্তির দাপট আমাদের যে চোখে পড়ছে না তার কারণ সংখ্যাগুরুর অহং ও তজ্জাত অন্ধত্ব। বাইরের তাবৎ বিশ্ব আমাদের অ-সভ্যতা, দুর্নীতি, অপশাসন, ধর্মান্ধতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনামুখর এবং আমরা কোনো কিছুতেই আর লজ্জা পর্যন্ত পাই না। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ আমাদের আর তাদের সমপর্যায়ভুক্ত যে ভাবছে না সে বুদ্ধি বা বোধ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার শক্তিদম্ভ।
৩.
বাঙালির মনস্তত্ত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠের মনস্তত্ত্ব। সেখানে আর কারোরই অস্তিত্ব নেই তার নিজেকে ছাড়া। ঘটনাটি একই সঙ্গে অন্ধত্ব ও বিবেকহীনতা, অথচ সে তা বোঝে না।
একটি ঘটনার কথা মনে হলে এখনও কষ্ট পাই। জিয়ার শাসনামল তখন। পার্বত্য চট্টগ্রামে খুবই অশান্ত অবস্থা, অঘোষিত যুদ্ধ চলছে পাহাড়ি আদিবাসী গেরিলাদের সঙ্গে। সরকার বেকাদায় আছে এবং তার বাহ্যিক বীরত্ব প্রকাশের ভেতর দিয়েই তেরপল ঢাকা জলপাইরঙা গাড়ি রোজই চাটগাঁ সেনানিবাসে রাত থাকতে থাকতে গিয়ে ঢোকে। আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের এ কথা সেদিন বোঝাতে পারিনি যে, অন্যায়টা আমাদের, বাঙালিদের এবং ঐ যুদ্ধ অনৈতিক আমাদের দিক থেকেই, পাহাড়িদের দিক থেকে নয়। আমার নিজের মত এখনও পাল্টায়নি। আমি এও দেখতে পাচ্ছি যে, পার্বত্য চট্টগ্রামেই শুধু নয়, এখন সংখ্যাগুরু বাঙালির অত্যাচারের অভ্যাস আরো পরিব্যাপ্ত হয়েছে; কোথায় নয়? সে অত্যাচার করছে মধুপুরের গড়ে, সিলেটে, উত্তরবঙ্গে, পটুয়াখালীতে, সবখানে। এর মূল কারণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার ও রাজনৈতিক দস্যুতাকে আঙুল উঁচিয়ে দেখানো খুব সোজা। যে কেউ সেটা পারেন এবং যিনিই যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলে থাকবেন তিনিই ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ বলে গদিনসীন দলের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন, এটিও কোনো মহৎ কর্ম নয়। আসল অসুখ হলো সংবেদনহীনতা। সংখ্যালঘু যে, সে তার লঘুত্বের কারণেই সংখ্যালগুরুর কাছে দুর্বল। দুর্বলের জন্য হৃদয়ে তার কোনো মমতা নেই; এই অসংবেদনার পাপ হয়তো সে সবল বলে বোঝে না, কিন্তু তার ফলে পাপ তো আর পুণ্য হয়ে যায় না।
যে প্রান্তিক, যে দূরের যে আমাদের চেয়ে হীনবল তা যে কারণেই হোক না তার রক্ষণাবেক্ষণের নীতিজ্ঞান রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশিত এবং সভ্য দেশে আইন প্রণয়ন সেভাবেই হয়ে থাকে। বাংলাদেশে যে তা হতে পারেনি তার একমাত্র কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের কূপম-ূকতা ও তার বাঙালি জাতিসত্তার আত্মধ্বংসী অহংকার। এই দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠী দেশের জনসংখ্যার শতকরা কত ভাগ এবং তা এতই নগণ্য যে দৃষ্টিগ্রাহ্য নয় এমন হৃদয়হীন ও অযৌক্তিক কথা বলার লোক এ দেশে নিশ্চয়ই যথেষ্ট। কিন্তু জ্যান্ত মানুষ না দেখে মৃত সংখ্যার শতকরা হিসেবে নিয়ে ব্যস্ত লোকটিকে তো অপচয়িত মেধা, কলুষিত হৃদয়, দুর্বৃত্ত ছাড়া অন্য কিছু বলা যাবে না। আমাদের লজ্জা এখানেই যে, আমরা প্রায় সকলেই শুধু আমাদের বাঙালিত্বের সুবাদে ঐ দলের মধ্যে পড়ে যাই।
সাঁওতালী মাতৃভাষার অনিল মারা-ি তাঁর এক ভাষণে এক মর্মান্তিক সত্য উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন :
‘আপনারা জানেন যে, জীববিজ্ঞানীরা জীব আবিষ্কার করতে গিয়ে ব্যাঙের সমস্ত শরীরকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলছে। ঠিক তদ্রƒপ নৃবিজ্ঞানীরা আদিবাসীদের জাতিতে রূপান্তর করতে গিয়ে তাদের মাংসকে টুকরো টুকরো করে শেষ করে দিচ্ছে, কিন্তু আমরা তাদের অবস্থার কোনো উন্নয়ন লক্ষ্য করছি না। আজকে এখানে বহু ডক্টর আছেন, তাদের কাছে বিনীতভাবে আমাদের আবেদন এই আদিবাসীদের আর কাটবেন না। এই আদিবাসীদের রক্ষা করুন। এই আদিবাসীদের বাঁচাতে চাই, আদিবাসীদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাই, আপনারা তাদের চামড়া কেটে অনেক বড় জায়গায় চলে গেছেন, ডক্টরেট ডিগ্রি করেছেন, কিন্তু আদিবাসী যেখানে ছিল সেই জায়গাতেই অবস্থান করছে।’
২০০১ সালে উচ্চারিত তাঁর পর্যবেক্ষণ আদিবাসী সমাজের যে দুর্ভাগ্য ও বঞ্চনার ছবি হাজির করে বর্তমান ২০০৫ সালের অবস্থা তার চেয়ে অনেক খারাপ। দেশের সরকার যেহেতু বেনিয়া মুৎসুদ্দি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের দখলে তাই আদিবাসীদের ওপর অর্থলোলুপ ক্ষমতাবানদের অত্যাচার বহুগুণ বেড়েছে এবং নিপীড়ন নির্যাতন-হত্যা-ধর্ষণে ও জমিদখলে অতিষ্ঠ এসব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অনেকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। রাষ্ট্রশক্তি যাদের দখলে তারা এতে খুশি, কারণ এতেই তাদের লাভ, এটাই তারা চায়। কিন্তু সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ঐ প্রতিনিধি এই পাঁচ বছরে একটি উন্নতির চিহ্ন হয়তো দেখতে পেয়েছেন, আর সেটাই অনেকটা আশ্বস্ত হওয়ার মতো। তা হলো আদিবাসীদের পাশে এসে অনেক সচেতন গণতন্ত্রমনা দেশপ্রেমিক বাঙালি তাঁদের শামিল হয়েছে, আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, সরকারি নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা জোরদার হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা আনুমানিক ২৫ লক্ষ। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যাদি ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলছে যে, এঁরা সকলেই প্রবলভাবে শোষিত ও শাসিত। আর ইতিহাসের নিরপেক্ষ দৃষ্টি জানিয়ে দিচ্ছে যে, এসব জনগোষ্ঠীতে যত জাতিসত্তা আছে তারা নিজ নিজ জায়গাতে অনাদি কাল থেকেই স্থায়ী বাসিন্দা এবং এমনকি বাঙালি নামে চিহ্নিত জাতিটি এখনকার বর্তমান চেহারা নিয়েছে ঐসব আদিবাসীর বহু ভাষা থেকে শব্দ, বহু সামাজিক প্রথা থেকে লোকাচার ইত্যাদি আত্মসাৎ করে।
সর্বাগ্রে প্রয়োজন, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগণের হৃদয় পরিবর্তন। প্রথমে ব্যক্তিমানুষের, সেখান থেকে ছড়াবে সমাজের অভ্যন্তরে; আর পরিশেষে, ব্যক্তি ও সমাজের দাবিতে ও চাপে রাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তিত হবে। নৈতিক দায় বাঙালিরই।