রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে যেসব শস্য বাইরে আসছে তার বেশির ভাগই যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তিনি বলছেন, দরিদ্র দেশগুলোতে এই শস্য যাচ্ছে না। রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ায় দুদেশের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে শস্য বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য সুরক্ষিত রুট তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির বিষয়ে একমত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। তারপর থেকেই কয়েক হাজার টন শস্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এতে করে বিশ্বে খাদ্য সংকট এবং খাদ্য পণ্যের দাম যেভাবে বেড়ে গিয়েছিল সে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর নগরী ভ্লাদিভোস্তোক থেকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেনের বেশিরভাগ শস্যই দরিদ্র বা উন্নয়নশীল দেশের বদলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই বিশ্বের অন্যতম শস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেন বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। গত জুলাই মাসে জাতিসংঘ এবং তুরস্ক এ বিষয়ে মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলে কৃষ্ণ সাগরের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কিয়েভ এবং মস্কো পুনরায় শস্য রপ্তানির বিষয়ে চুক্তি করে। পুতিন বলেন, আমরা ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করেছি…আমরা তুরস্কের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করেছি। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো গত কয়েক দশক এবং শতাব্দীতে উপনিবেশবাদী হিসেবে কাজ করেছে এবং তারা আজও তাই করে যাচ্ছে। তারা আবারও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঠকাচ্ছে। তার মতে, এমনটা চলতে থাকলে বিশ্বে খাদ্য সংকট আরও বাড়বে। এতে অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।