প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অটোরিক্সা চালক আব্দুল মুন্নাফের প্রতিবন্ধী ছেলে নাহিদ। জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী নাহিদ। তার এক পা পঙ্গু। কোন রকমে বাঁশের লাঠির উপর ভর করে খাওয়া দাওয়া ও প্রকৃতির কাজ সারেন। নাহিদের বয়স ১৩বছর। দিনমজুর আব্দুল মুন্নাফের পরিবারের সদস্য ৫জন। সংসারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি আব্দুল মুন্নাফ। তার একার রোজগারে ৫জনের সংসার চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। তার উপরে ১৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে চরম বিপাকে মুন্নাফ। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিয়েও পাননি কোন রকম সেবা সহায়তা।
আব্দুল মুন্নাফের বাড়ি উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা গ্রামে। সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা সেবা চালু থাকলেও প্রতিবন্ধী ভাতার সেবা থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধী নাহিদ (১৩)। স্থানীয় মেম্বার- চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে সুবিধা না পেয়ে চলতি বছরের ৬ মার্চ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে ছেলে নাহিদের প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করেন আব্দুল মুন্নাফ। ওই একই সময় আরও ৪০জনের বেশী আবেদন করেন। ইতিমধ্যে অধিকাংশ সুবিধাভোগী প্রতিবন্ধী ভাতার তাদের নামের তালিকা অন্তর্ভুক্ত হলেও তালিকায় নাম আসেনি নাহিদের।
প্রতিবন্ধী নাহিদের বাবা আব্দুল মুন্নাফ আক্ষেপ করে বলেন, একা মানুষ আমি, ভাংগা-চুরা একটা অটো চালিয়ে ৫জনের সংসার চালাই। আমার ছেলে নাহিদ জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী। মেম্বার-চেয়ারম্যানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পায়নি কোন সুবিধা। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে গিয়েও কোন কাজ হলো না।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মশিউর রহমান বলেন, পুরো উপজেলায় শতশত আবেদনকারী সবার কথা মনে রাখা সম্ভব হয়না। ভুক্তভোগীকে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খাদিজা বেগম বলেন, ভুক্তভোগীর তথ্য দিলে সমাজসেবা অফিসারকে বিষয়টি জানানো হবে।