সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)
বন্যা দেয় হানা ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে চিলমারী। সেই সাথে বন্যা তছনছ করে রেখে যায় সড়ক ব্যবস্থা। ভাঙ্গে নদী গিলে খায় বাড়িঘরসহ সড়ক ও ব্রীজ। বিছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষ সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সরকার ক্ষতিতে পড়লেও লাভবান হচ্ছে কতিপয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদার। পরিত্রাণের সাথে চিলমারীবাসী চায় বন্যা সহনশীল সড়ক ব্যবস্থা।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যার পানি নেমে গেলেও তছনছ করে রেখে গেছে উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা। রেখে গেছে বিধস্ত সড়ক ব্যবস্থা এবং ঘরহারা সাজানো সংসার হারা অসহায় মানুষের চোখের পানি। এখনো রয়েছেন অনেকে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে। রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভাট নষ্ট হওয়ায় অচল হয়ে আছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তাঘাট জেগে উঠলেও তা পরিনত হয়েছে কংকালে। বন্যার পূর্বের অবস্থা আর বন্যার পরের অবস্থা পুরোটাই যেন উপজেলাকে দিয়েছে বদলে। বন্যার পানির তোড়ে ভেঙ্গে ডুবে যায় একে একে উপজেলা সকল রাস্তাঘাট। পুরো শহর তলিয়ে যায় পানির নিচে। অনেকে ছাড়ে শহর। প্রায় মাস ব্যাপি অবস্থানের পর বানের পানি নেমে যায়। শহর ছেড়ে যাওয়া মানুষজন ফিরে আসে শহরে। ফিরেই বিধস্ত চিলমারী সড়ক দেখতে হয় তাদের। চিলমারী জেগে উঠলেও কংকাল শরীর নিয়ে ভেসে উঠে সড়ক ব্যবস্থা। নদীও গিলে খায় বেশ কিছু রাস্তাঘাট। শহর ও শহরের সকল সড়কের পরিনতি হয়েছে বেহাল দশায়। পানি নেমে যাওয়ায় প্রায় ২মাস কেটে গেলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধানের অভাবে চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়ক গুলো।
উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের সকল সড়কসহ অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের অধিকাংশ জায়গা থেকে ইট সুরকি উঠে অসংখ্য গর্ত, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড়গর্ত, খানাখন্দে পানি, কাঁদা জমে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা গুলোর বেশির ভাগ কার্পেটিং, খোয়া উঠে গতের্র সৃষ্টি হওয়ায় বাস, ট্রাক, ভ্যান, রিকশা, ভটভটি সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে নিদারুন কষ্ট ভোগ করছে জনগণ। বন্যা আগে নবনির্মিত ও সংস্কার করা সড়ক গুলোও বেহাল দশা হলেও কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। চিলমারী শহরের প্রধান সড়কটি বন্যা আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হলেও চিলমারী মডেল থানার সামনসহ বেশ কিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় শহরে প্রবেশের আগেই হোচট খাচ্ছে এলাকাবাসীসহ প্রবেশকারীরা। তবে সড়কটি সংস্কারের সময় ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। শুধু তাই নয় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের কাশিম বাজার, বজড়া, নদীবন্দর, জোড়গাছ বাজারসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়ক গুলো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ঘটছে প্রায় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার বেশ কিছু পাকা রাস্তা ও কাচাঁ রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কহিনুর রহমান জানান, বন্যায় কয়েক হাজার পরিবারের কাচাঁ-পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে বেশ কিছু রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।