• মে ২, ২০২৪ ১:৫৩ অপরাহ্ণ

ধর্ষকের স্ত্রী বললেন ‘আমার স্বামী নির্দোষ’

সেপ্টে ১৬, ২০২০

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কয়েক দফা ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৩)। বর্তমানে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন। এতে মো. সালামত সরদার নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সালামত সরদার পলাতক আছেন। তবে তার স্ত্রী সালামত সরদারকে নির্দোষ দাবি করেছেন। মঙ্গলবার ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই কিশোরী সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের লাউখোলা এলাকায়। এক বছর আগে নানাবাড়ি রুদ্রকর ইউনিয়নের মাকসাহার আসে সে। মেয়েটি নানাবাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। গত ৭ মার্চ রাতে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে ওই কিশোরীকে স্থানীয় মৃত মন্নান সরদারের ছেলে মো. সালামত সরদার ধর্ষণ করে। এরপর বেশ কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে সালামত।

গত ৮ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চান তার মা। পরে সে সব ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে। ছাত্রীটির মা সোমবার রাতে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালামত সরদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সালামত।

কিশোরীর মা বলেন, বিষয়টি নিয়ে যাতে আমরা বাড়াবাড়ি না করি, সেজন্য সালামত আমাকে ও আমার মেয়েকে হুমকি দিয়েছে। বাধ্য হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছি। এতটুকু মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে, আমি তার বিচার চাই।

তবে সালামত সরদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। তবুও যদি আমার স্বামী ওই কাজ করে থাকে তার শাস্তি হোক।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে মঙ্গলবার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রির্পোট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।