• মে ২, ২০২৪ ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামে নদীর মাঝে লাল সবুজের রঙে নির্মিত ব্যতিক্রমী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ

মার্চ ২৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামে নতুন প্রজন্মকে উজ্জিবীত করতে এবং জানাতে একটি বিলের মাঝে লাল সবুজের রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে ব্যতিক্রমী অস্থায়ী ভাসমান এক দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলার রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বর্ণিল আলোকসজ্জায় চাকির পশার বিলে স্মৃতি সৌধের আদলে ভাসমান স্মৃতি সৌধটি তৈরি করা হয়।
রোববার (২৬ মার্চ) রাতে উপজেলার চাকির পশা বিলের মাঝে এ ব্যতিক্রমী স্মৃতি সৌধটির দেখা মেলে।
রোববার সন্ধ্যার পর থেকে ব্যতিক্রমী এই স্মৃতি সৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাকির পাশ বিলের পারে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির নিজ অর্থায়নে উপজেলার চাকির পশা বিলে মাঝে ব্যতিক্রমী অস্থায়ী একটি ভাসমান স্মৃতি সৌধ তৈরি করা হয়েছে। মুলত নতুন প্রজন্মকে উজ্জিবীত করতে স্মৃতি সৌধেটি লাল সবুজ রঙের আদলে তৈরি করা হয়। দেখলে মন কারবে যে কারও। রাতে নদীর মাঝে স্মৃতি সৌধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শত শত মানুষ ভিড় করছে চাকির পাশ বিলের পাড়ে। স্মৃতি সৌধটিতে লোহার এঙ্গেল, রড, পাতি, কাপড় ও বিভিন্ন রঙের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি লম্বা প্রায় ২১ ফিট।
সবকিছু ঠিকটাক থাকলে স্মৃতি সৌধটি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য ঈদ পর্যন্ত বিলের মাঝেই রাখা হবে বলে জানা গেছে।
স্মৃতি সৌধটি দেখতে আসা রানা নামের একজন বলেন, বিলের মাঝে স্মৃতি সৌধ। আবার লাল সবুজের রঙের রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেখতে অসাধারণ। আমি ফেসবুকে স্মৃতি সৌধটি সৌন্দর্য দেখতে পেয়ে চলে আসলাম। আসলেই অসাধারণ, নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না এর সৌন্দর্য।
এবিষয়ে স্মৃতি সৌধেটির তৈরির উদ্যোগতা ও রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির বলেন, ২৬ এ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাকির পশা বিলের মাঝে অস্থায়ী দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। নতুন প্রজন্মকে উজ্জিবীত এবং জানাতে মুলত স্মৃতি সৌধটি নির্মিত করা হয়েছে। গত ১৫ দিন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এ কাজটি করেছি আমরা। দেখবেন নিজের ছবি নদীর মাঝে দেখতে কিন্তু ভালো লাগে। ঠিক তার চেয়েও সুন্দর লাগছে স্মৃতি সৌধটি পানিতে দেখতে।
এর সৌন্দর্য রাতে উপভোগ করার মত। দিনে এটি ভালো লাগবে না। মুলত রাতের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা বলবো তারা যেন এর অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে আসে।