• মে ৭, ২০২৪ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

চিলমারীতে কমসৃজন শ্রমিকদের মেলেনি ২ মাসের মজুরি, মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের অবস্থান

মার্চ ২৭, ২০২৩

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শুরু হয়েছে রমজান এর উপর ২মাস আগে কাজ শেষ হলেও মজুরি পায়নি শ্রমিকরা। হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) এর ২৫ দিনের কাজের মজুরি না পাওয়ায় মানবেতন জীবন যাপন করছেন শতশত শ্রমিক। কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন পার হলেও মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। সোমবার মজুরির দাবিতে উপজেলা চত্তরেরও অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এর বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) এর ৪০দিনের কাজ শেষ হয় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারী। ইতি মধ্যে ২য় পর্যায়েরও কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কাজ ২মাস আগে শেষ হলেও ৬টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৮৫২জন শ্রমিক ২৫দিনের মজুরি পায়নি। এর মধ্যে রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ২৬১জন, নয়ারহাটে ২৯৩ জন, থানাহাটে ৩৯০জন, রমনা মডেলে ৩০৩জন, চিলমারী ১৬৩জন ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ৪৪২ জন শ্রমিক জনপ্রতি দিন হাজিরা হিসাবে ৪শত টাকা করে ২৫ দিনের টাকা না পাওয়ায় করছে মানবেতর জীবন যাপন। থানাহাট, রমনা ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, তারা সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করেছেন। প্রতি বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহের কাজের বিল একসঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। পুরো ৪০ দিন কাজ শেষ হলে মাত্র ১৫ দিনের কাজের বিল দেওয়া হয়েছে। এরপর পুরো দুই মাস পেরিয়ে গেলেও বাকি বিল দেওয়া হচ্ছেনা। মাটি কাটার মতো কষ্টকর কাজ করেও বিল না পাওয়াটা খুবই দুঃখজনক বলে জানান তারা। জিনিস পত্রের যে দাম বাহে মন্তব্য করে আমেছা বলেন, হামার কষ্ট কেডা বোঝে, কাজ করি নিলো কতদিন হয় আর ট্যাকা দেয়ার বেলায় নাই, তাতে রমজান মাস, কেমনে চলি কনতো। মাছাবান্দা এলাকার শ্রমিক ফুলমতি জানান, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। সপ্তাহে পাঁচ দিন হিসাবে ৪০ দিনের কাজে প্রায় দুই মাস লেগেছে। এ সময়ে অন্য কোনো কাজও করতে পারিনি। ধার করে, দোকানে বাকি রেখে খাওয়া-পরা চালিয়েছি। এখন সবাই টাকা চাচ্ছে। কিন্তু বিল না পেয়ে তাদের টাকা দিতে না পেরে খুব বিপদে আছি। একদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম চড়া অপরদিকে হাতে নাই ট্যাকা এসেছে রমজান তার উপর ২মাসের বেশি সময় পার হইলো দিচ্ছেনা মজুরি হামরা আর চলতে পারচ্ছিনারে বাবা, কষ্ট আর ক্ষোভ নিয়ে কথা গুলো বলেন, শ্রমিক মনজু। এদিকে মজুরির দাবি নিয়ে শতশত শ্রমিক সোমবার দিনব্যাপি অবস্থান নিয়েছিল উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ের সামনে। শ্রমিকরা কষ্টে আছে মন্তব্য করে ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, শ্রমিকদের নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছে তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারছিনা আমরা। যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে আশা করি শ্রমিকরা দ্রুত তাদের মজুরি পাবে।