• মে ২০, ২০২৪ ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

অপরুপ রুপে সাজে সেজেছে চিলমারীর চরাঞ্চল

অক্টো ১১, ২০২২

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
কখনো ভাঙ্গন কখনো বন্যা কেড়ে নেয় চরাঞ্চলবাসীর স্বপ্ন। আবার সেই জেগে উঠা চরগুলো আশা জাগায় চরাঞ্চলবাসীর বুকে। সেই সাথে আশা, স্বপ্ন আর ভালোবাসার ছোয়া নিয়ে কাশফুলের চাদরে ঢেকেছে চিলমারী। সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে চরাঞ্চল। নদীর বুকে জেগে উঠা খন্ড খন্ড চরে আপন মনে বেড়ে উঠছে কাশফুল। সাদা তুলোর মতো মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে ছড়ায় মুগ্ধতা। প্রতিদিন আনন্দ পেতে ছুটছে বিনোদন প্রেমিরা। কাটাচ্ছে সারাদিন কাশফুলের মনোরম পরিবেশে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী একটি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। প্রতি বছর ভাঙ্গনে দিশাহারা হয়ে পড়ে মানুষ। এর পরেও চরাঞ্চল ছাড়তে চায়না বেশির ভাগ মানুষ। বন্যা আর ভাঙ্গনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা মানুষগুলো বন্যার পর জেগে উঠা চরগুলোতে ফসল ফলিয়ে তোলে। দুর করে অভাব। কাশফুলের সন বিক্রি করে অনেকেই হয় লাভোবান। চলছে এখন শরৎ, বন্যার পর জেগে উঠা চরগুলো এই সময় বিনোদন প্রেমিদের কাছে টানে। সেই সাথে চলতি মৌসুমে আনন্দ বাড়ায় কাশফুল। নদীর বুকে জেগে উঠা চরগুলো দুর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা ফুলের চাদরে ঢেকে গেছে পুরো চর। সাদা ফুলে ফুলে যেন সাজিয়ে নিয়েছে নিজেদের। বাতাসে বাতাসে দুলতে দুলতে কাশফুলের সাদা বন ভ্রমন পিয়াসু মানুষের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। ছাড়ায় শুভ্রতা। সদ্য জেগে উঠা চরে কাশফুল বাগানে প্রতিদিন শতশত বিনোদন প্রেমিরা ভির জমাচ্ছে আর আনন্দে মেতে উঠছে। ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমি মাইদুল, মিম, শাহনাজ সহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নদীতে ঘুরতে মজাই আলাদা এর উপর নদীর তীরে জেগে উঠা চরে কাশফুল মনে আনন্দ এনে দেয় এবং বারবার কাছে টানে। এলাকার ছক্কু, শাহফুজারসহ অনেকে বলেন, প্রতিদিন শতশত ছেলে, মেয়ে, মধ্যবয়স্কসহ বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং কাশফুল দেখতে এবং ছবি তুলতে হুমরি খেয়ে পড়ছে। সন ব্যবসায়ী ইউছুফ আলী বলেন, প্রতি বছর চরে চরে শতশত একর জমিতে কাশফুল ফোটে এর আগে জমিগুলো বর্গা নিয়ে আমরা দেখাশুনা করি এবং সময় মতো সন গুলো বিক্রি করে লাভবান হই এছাড়াও এই সময় বেশকিছু মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়। বেড়াতে আসা অনেকে বলেন, নৌ-ঘাট গুলোতে নেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা, এছাড়াও চর গুলোতেও নেই কোন নিরাপত্তা। এছাড়াও নেই টয়লেট ব্যবস্থা ফলে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমিদের বিপাকে পড়তে হয়। এছাড়াও কতিপয় যুবকদের দল বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে থাকেন বিনোদন প্রেমিদের। তারা আরো বলেন, এছাড়াও নৌকা ভাড়ার নিদিষ্ট মুল্য না থাকায় যে যার মতো বেশি টাকা নিচ্ছে। বিনোদন প্রেমিরা ব্রহ্মপুত্রের ডানতীরে বিনোদন পার্ক নির্মানের দাবি জানান। চিলমারী মডেল থানা, বন্দর থানা ও ঢুষমারা থানা কর্তৃপক্ষ জানান, পুলিশ সব সময় জনকল্যানসহ জননিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, নৌ-বন্দরে বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে পার্কেও বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।