• মে ২০, ২০২৪ ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

দ্রারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করেই চলছে জেলেদের দিনকাল

অক্টো ১১, ২০২২

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
রাত কিংবা দিন ছুটে চলে নৌকা নিয়ে মাছের খোঁজে। দিন শেষে বা রাত কাটিয়ে মাছ ধরা আর বিক্রি করেই সংসার চালানো। এবং পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটানো জেলেদের এখন দুর্দিন। টাকা অভাবে নৌকা আবার কখনো ছিঁড়ে যাওয়া জাল মেরামত করতে ব্যর্থ হওয়ার সাথে তেলের দাম বৃদ্ধিতে জেলেরা আজ অসহায়, চলছে নদীতে মাছ না ধরার মৌসুম। সরকারী সহায়তা, সাথে ঋণ পেলে তারা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশাবাদী জেলেরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বেষ্টিত এলাকা। শতশত পরিবার মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং নদীর নাব্যতাসহ বিভিন্ন কারনে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ছাড়াও নানা কারনে দেখা দিয়ছে মাছের অকাল। যদিও ব্রহ্মপুত্র থেকে মাছ ধরে চাহিদা মেঠানোর পাশাপাশি শতশত জেলে পরিবার নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কালের পরিবর্তনে অর্থের অভাবে আজ জেলেরা নিরুপায়। সাথে নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় তারা এখন দিশাহারা। উপজেলার শতশত জেলে পরিবার জীবনের তাগিদে বাধ্য হয়ে আজ চড়া সুদে মহাজানদের নিকট ঋণ নিয়ে পড়েছে বিপাকে। সারাদিন ও সারারাত মাছ ধরে বিক্রি করে সুদের টাকা পরিষদ করতেই পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হাতে ফিরতে হয় বাড়িতে। এর উপর চলছে নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা। দিন শেষে মলিন মুখ আর শুন্য হাতে ফিরতে হয় ঘরে। খেয়ে না খেয়ে রাত পাড়ি দিয়ে আবারো বেড়িয়ে পড়ে মাছের খোঁজে মহাজানের সুদের টাকা পরিষদ করতে। জেলেরা জানান, বছর শেষে নৌকা আর জাল মেরামতের জন্য মহাজানদের নিকট থেকে বাধ্য হয়ে চড়া সুদে ধার নিয়ে চলতে হয়। সারদিন শেষে মাছ বিক্রির টাকা সুদেই খেয়ে নেয়। আবার মাছের দেখা না পেলে ধারদেনা করে সুদকে থামাতে হয়। তাই বেশির ভাগ সময় শুন্য হাতে ঘরে ফিরতে হয়। এদিকে দিন দিন মাছের অকাল দেখা দেয়া সাথে নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলে পরিবাররা পড়েছে বড় দুশ্চিতায়। সাথে অপেক্ষার প্রহর গুনছে কবে নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। জেলে সর্দার ভোন্দল দাশ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জেলেদের জন্য বিশেষে ভিজিএফ এছাড়াও বিভিন্ন সহযোগীতা করছেন। এর পাশাপাশি যদি জেলেদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে মহাজানদের কাছে জিম্মি থাকতে হবে না এবং জেলেদের সুখের দিন আসবে। কথা হলে উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান খান বলেন, বর্তমান নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এই জন্য জেলের জন্য বিশেষ ভিজিএফ এর ব্যবস্থা করা হবে। তবে জেলের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হলে তাদের উপকার হবে।