• রবি. জুন ২২, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ২ মাস ধরে বন্ধ ফেরি চলাচল

মার্চ ৭, ২০২৪

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা সংকট না থাকলেও পেড়িয়ে যাচ্ছে ২মাস মেরামত হয়নি কালভাট, শেষ হয়নি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজও। ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সকল প্রকার উদ্যোগ থাকলেও এলজিইডি’র গাফলতির কারনে প্রায় ২মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। তথ্য মতে ১০ জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং সরকার রাজস্ব আদায় শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই রৌমারীর ফুলুরচরঘাট থেকে রৌমারী সদর যাওয়ার পথের একটি কালভাট ভেঙ্গে পড়ে, ফলে প্রায় ২মাস থেকে পণ্যবাহী গাড়িসহ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে ফেরি চলাচল। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় মুখথুবরে পড়েছে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে রাজস্ব আয়। চিলমারী-রৌমারী ব্রহ্মপুত্র নৌপথে প্রায় দু’মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, দুর্ভোগে জনসাধারন, লোকসান গুনছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম চিলমারী-রৌমারী নৌপথ। এ পথে ব্রহ্মপুত্রের উভয় পারের বেশ কয়েকটি জেলার পণ্যবাহী যানবাহনসহ শত শত মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের পণ্য ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে জনদুর্ভোগসহ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কয়েক জেলার মানুষ। এ অবস্থায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পার হচ্ছেন। এই সুযোগে নৌকার ভাড়াও বেশি নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন যাত্রীরা।
নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, ফেরিতে মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়াপাড় হলে ৫০ টাকাতে হতো আর এখন নৌকায় ২শত টাকা গুনতে হচ্ছে এবং মোটর সাইকেল উঠানামার জন্য আরো ১শত টাকা কুল খরচ হচ্ছে এছাড়াও জিস্মি হতে হয় অনেক সময়।
ঘাট ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ২ মাস ধরে এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান করে দ্রুত ফেরি চালুর দাবি জানান, ব্যবসায়ীরাসহ এলাকাবাসী। বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ১০ জানুয়ারী থেকে ফেরি বন্ধ থাকার মুল কারন হচ্ছে রৌমারী সড়কে একটি কালভাট ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, অ্যাপ্রোচ সড়ক বা কালভাট নির্মান হলেও আবার চালু হবে ফেরিটি।
তিনি আরো জানান, ফেরি দুটি বর্তমানে রৌমারী ঘাটে অবস্থান করছে।
এ বিষয় রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইমন চৌধুরী বলেন, কালভাট নির্মানের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলছে তা শেষ হলেও সকল ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।