• সোম. মে ১২, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

বন্যার থাবায় ডুবে গেছে কৃষকের স্বপ্ন

সেপ্টে ২১, ২০২০

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
৩য় দফা বন্যার থাবা থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই ৪র্থ দফা বন্যার থাবায় দিশাহারা কুড়িগ্রামের চিলমারীবাসী। বুক ভরা আশা আর চোখে বড় স্বপ্ন নিয়ে মাঠে আমন ধান বুনলেও তা বন্যার পানি নিয়েছে তলিয়ে। ডুবে গেছে কৃষকের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন। বারবার বন্যায় আঘাতে ক্ষতবিক্ষত মানুষজন পড়েছে বিপাকে। কৃষকদের দিন কাটছে হতাশ মনে। আবারো পানিবন্দি হওয়ায় বিপাকে নিন্মাঞ্চলের মানুষজন।
জানা গেছে, ৩য় দফা বন্যার পানি মেনে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো সদ্য বাড়িতে ফিরে বাড়িঘর ঠিক করতে না করতে আবারো বন্যায় থাবায় দিশাহারা তারা। শুধু তাই নয় বারবার বন্যার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও বুক ভরা আশা চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে শক্ত হাতে নেমেছিল মাঠে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে চারা সংগ্রহ করে ফসল বুনেছিল মাঠে। ছিল আশা, ছিল স্বপ্ন কিন্তু ৪র্থ দফা বন্যার থাবায় সব তচনচ করে দিয়েছে তাদের আশা, তাদের স্বপ্ন। স্বপ্ন আর বুক ভরা আশা বন্যা সব নষ্ট করে দিয়েছে জানিয়ে, মাছাবান্দা এলাকার কৃষক ফয়জার, নয়ারহাটের মাহফুজার বলেন শুধু আমরা নই এই এলাকার শতশত কৃষকের স্বপ্ন আর আশা ডুবে দিয়েছে ৪র্থ বারের বন্যা। তারা আরো জানান, অনেক কষ্ট করে চারা সংগ্রহ করে চড়া মূল্যে কামলা (শ্রমিক) দিয়ে আমন চাষ করেছিলাম কিন্তু বন্যা সব ডুবে নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু ফয়জার, মাহফুজার নয় উপজেলার নয়ারহাট, অষ্টমীরচর, চিলমারী ইউনিয়নসহ নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শতশত হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা এখন দিশাহারা। দিশাহারা নিন্মাঞ্চলের মানুষজন। নিন্ম এলাকার মানুষজন দীর্ঘ ১মাসেরও বেশি সময় বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিনাপাত করার পর বাড়িতে ফিরে বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত শুরু করতে না করতে ৪র্থ দফার বন্যা তাদের বিপাকে ফেলিয়েছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার কথা শিকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় কুমার বিষাণ দাশ বলেন উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৫শত হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে, তবে পানি কমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বোঝা যাবে।