নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউসেপ বাংলাদেশ রংপুর অঞ্চল এর উদ্যোগে ২৮ এপ্রিল (সোমবার) “চাইল্ড প্রোটেকশন ও সেফগার্ডিং” বিষয়ক দিনব্যাপী একটি রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। ইউসেপ রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণে ইউসেপ টিভিইটি ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, টেকনিক্যাল স্কুল এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এতে ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে বিষয় ভিত্তিক সেশন পরিচালনা করেন ইউসেপ বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের স্পেশালিস্ট, সোশ্যাল ইনক্লুশন ও সেফগার্ডিং মোছা. নাদিয়া খাতুন, ইউসেপ রংপুর অঞ্চলের সেফগার্ডিং কমিটির সদস্য মঞ্জুশ্রী সাহা, টিভিইটি ইনস্টিটিউটের জেন্ডার ফোকাল পার্সন মোছা. সাহানা বেগম, ইউসেপ রংপুর সিটি করপোরেশন টেকনিক্যাল স্কুলের জেন্ডার ফোকাল পার্সন মোছা. কামরুন্নাহার বেগম এবং ইউসেপ রবার্টসনগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুলের জেন্ডার ফোকাল পার্সন মোছা. আয়েশা খাতুন।
প্রশিক্ষণ সেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউসেপ রংপুর এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম। প্রশিক্ষণ সেশনে টিম লিডার, সোশ্যাল ইনক্লুশন মো.সোলায়মান এর সঞ্চালনায় এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য দেন সোশ্যাল ইনক্লুশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেলের ইনচার্জ মো. এবাদুর রহমান। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যাশা তুলে ধরেন ইউসেপ রংপুর টিভিইটি ইনস্টিটিউটের হেড মো. মিজানুর রহমান, ইউসেপ রবার্টসনগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুলের হেড মো. লাভলু মিয়া এবং ইউসেপ রংপুর সিটি করপোরেশন টেকনিক্যাল স্কুলের হেড মো. জিয়াউর রহমান।
প্রশিক্ষণে চাইল্ড প্রোটেকশন ও চাইল্ড সেফগার্ডিং-এর মধ্যে পার্থক্য, শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ধরন ও প্রতিরোধ, যৌন হয়রানি, সহিংসতা, বুলিং, গ্রুমিং, হুইসেল ব্লোয়িং, পিএসইএ (যৌন শোষণ এবং নির্যাতন থেকে সুরক্ষা), এসইএ এর কারণসমূহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এছাড়াও ইউসেপ-এর শিশু সুরক্ষা নীতিমালা, সেফগার্ডিং মেকানিজম, পিএসইএ নীতিমালা, হুইসেল ব্লোয়িং নীতিমালা, আচরণ বিধিমালা এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও দলগত কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ সেশনটি সম্পন্ন হয়।
প্রশিক্ষণে বিভিন্ন স্তরের সর্বমোট ৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
রংপুরে ইউসেপ বাংলাদেশের আয়োজনে চাইল্ড প্রোটেকশন ও সেফগার্ডিং বিষয়ক রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ
