• বৃহঃ. জুন ১৯, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

চিলমারীতে ৩মাস থেকে টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে না ১৮ হাজার পরিবার

মার্চ ২৪, ২০২৫
চিলমারীতে ৩মাস থেকে টিসিবি’র পণ্য পাচ্ছে না ১৮ হাজার পরিবার

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
দোষ নিতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা আর সুবিধা থেকে বঞ্চিত ১৮ হাজারের অধিক পরিবার। স্মার্টকার্ডসহ বিভিন্ন জটিলতার কারনে ২মাস বঞ্চিত থাকার পরেও ৩য় মাস শেষের পর্যায়েও তবুও মেলেনি টিসিবি’র পণ্য। শেষ হতে চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই রমজানেও টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না কুড়িগ্রমের চিলমারী উপজেলার স্বল্প আয়ের ১৮ হাজারের অধিক পরিবার। ইতি পূর্বে দুই মাস ধরে টিসিবির পণ্য পাননি তারা। ফলে হতাশার ভুগছেন স্বল্পআয়ের মানুষজন। দুঃখ আর কষ্টের ছাপ দেখা দিয়েছে এসব মানুষের মুখে। স্মার্টকার্ড জটিলতায় বিতরণ কার্যক্রম ব্যাহত বলে জানাচ্ছেন ডিলাররা। তবে এই কার্ডের তালিকা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। উপজেলার এসব কার্ডধারীর অনেকের রয়েছে প্রভাবশারী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ চাকুরীজীবি।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে স্বল্পআয়ের ১৮ হাজার ৫৪৮টি পরিবার রয়েছে টিসিবি পণ্য ভোগকারীর তালিকায়। এরমধ্যে থানাহাট ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩১০টি, রমনা মডেল ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬০৮ টি, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ২ হাজার ৫১৩টি, চিলমারী ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৮১টি, নয়ারহাট ইউনিয়নে ২ হাজার ১০৩টি, অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৩৩টি পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের মাঝে পণ্য সরবরাহের জন্য রয়েছে ১০জন ডিলার। এদিকে সরকারি নির্দেশনায় সুবিধাভোগীদের স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮১০৭ টি কার্ড ইউনিয়ন ভিত্তিক ভাগ করে দেয়া হয়েছে। থানাহাট ইউনিয়নে ২হাজার ৬৬৪টি, চিলমারী ইউনিয়নে ৬০০টি, অষ্টমীরচরে ১হাজার ৭৩টি, নয়ারহাটে ১হাজার ৭৭টি, রমনা মডেলে ১হাজার ৭১৯টি এবং রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ৯৭৪টি কার্ড বিতরন করা হলেও চূরান্ত হয়নি কার্ড গুলো। জটিলতার কারনে এখন পর্যন্ত আসেনি কার্ডের বেশির ভাগ অংশই। অন্যদিকে স্মার্ট কার্ড প্রক্রিয়াকরণে ডিসেম্বর মাসের পর আর বিতরণ করা হয়নি টিসিবির পণ্য। ফলে কার্ডধারী স্বল্পআয়ের এসব মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশার ছাপ।
কার্ডধারীর সুবিধা না পাওয়া নিম্নআয়ের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, পূর্বে এসব তালিকা করেছেন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কিছু ক্ষমতাবানরা। ফলে অনিয়ম রয়েছে। লোক দেখানো কিছু নিম্নআয়ের মানুষ কার্ড পেলেও বেশিরভাগ কার্ড পেয়েছে আর্থিক স্বচ্ছল ও চাকুরীজীবিরা। কার্ডগুলো বিতরণের পূর্বে পুনরায় এসব তালিকা করে প্রকৃত মানুষ যেন কার্ডের সুবিধা পায় নিম্নআয়ের মানুষরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
টিসিবির সুবিধাভুগির অনেকে জানান, টিসিবির পণ্য পাওয়ায় সংসারের খরচ কম হচ্ছিল, কিন্তু দুই মাস পাইনি পণ্য, ফলে সাংসারিক খরচ বেড়ে গেছে।
তারা আরো জানান, রমজান মাসে অন্তত টিসিবির পণ্য পাব আশায় ছিলাম, কিন্তু পাওয়া যায়নি। মেসার্স জিয়া কমিনিকেশন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী টিসিবি ডিলার কামরুল হাসান বলেন, যেহেতু স্মার্ট কার্ডের জটিলতার শেষ হয়নি তাই জানুয়ারী আর ফেব্রুয়ারী দু’মাসের মাল দেয়া সম্ভব হবে না তবে মার্চ মাসে যে কয়েকটি কার্ড এসেছে তারা পাবে আর বাকিদের কার্ডের সমাধান যে সময় হবে তখন থেকে তারাও পাবে।
তবে ডিলাররা বিপাকে রয়েছেন মন্তব্য করে ডিলার বকুল বলেন, ১৮হাজারের মধ্যে ৮হাজার গ্রাহকের কাছে বিতরন করতে গেলে সমস্যা সৃষ্টি হতেও পারে।
মেসার্স পিএম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ডিলার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এখন চূড়ান্তকৃত কার্ডের তথ্য পায়নি তাই ডিও করতে পারছিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, আমাদের উপজেলায় একটু দেরিতে আবেদন শুরু হওয়ায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তবে আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং কার্ডধারী পণ্য পাবে।