চিলমারী প্রতিনিধি:
লক্ষ টাকা ভ্যাট প্রদানের পরেও হঠাতেই মাঝ পথেই চিলমারী উপজেলার ৪টি ইটভাটা বন্ধ করলো স্থানীয় প্রশাসন। ইটভাটা বন্ধ করায় চলমান ও শ্রম বিক্রি করা শ্রমিকরা পড়লো বেকার হয়ে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে হাজারো শ্রমিক। সরকারী কোষাগারে ভ্যাট দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ভাটা শুরু করলেও মাঝ পথেই স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় মালিক, শ্রমিকরাও পড়েছে বিপাকে। চিলমারী উপজেলার ভাটা গুলো বন্ধ করে দেয়ায় উপজেলার উন্নয়ন কাজ গুলো মুখ থুবরে পড়ার আশঙ্কা করছেন ঠিকাদারসহ স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠেছে ভ্যাট দেয়ার পরেও কেন এই বন্ধ ঘোশনা সেটিও আবার মাঝ পথে।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট প্রদান করে আবেদন করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ইটভাটা গুলোর কার্যক্রম নভেম্বর-২৪ শুরু করে। ভ্যাট প্রদানের কাগজসহ আবেদনের পেক্ষিতে পেক্ষিতে মালিকরা পূর্বের মতোই চালিয়ে যান কার্যক্রম। কিন্তু হঠাতেই মাঝ পথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক উপজেলার ৪টি ভাটায় অভিযান চালিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। শুরুতে বন্ধ না করলেও মাঝ পথে বন্ধ করে দেয়ায় ৪টি ভাটার প্রায় ২হাজার শ্রমিক বেকার পয়ে পড়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। শ্রমিকরা জানান, ভাটার শুরু করার আগে বন্ধ করলে আমরা হয়তো অগ্রিম শ্রম বিক্রি করতাম না আর হঠাতেই বেকার হয়ে কষ্টেও পড়তাম না। তারা আরো জানান, হঠাতেই বন্ধ করায়, একে তো আগে টাকা নিয়ে খাইছি, সেই ঋণের বোঝা এখন মাথায় উপর, ঋণের টাকা বাদে প্রতিদিন যা মুজুরী পাইতাম সেটিও বন্ধ আর এখন তো অন্য কোন কাজেরও তেমন অভিজ্ঞা নেই তাহলে চলমান এই সময় আমাদের কি হইবে। স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, বিভিন্ন স্থানে ভাটার কার্যক্রম চললেও হঠাতেই এই উপজেলায় বন্ধ করে দেয়ায় একে তো ইটের দাম বৃদ্ধি পাবে তার উপর সময় মতো পাওয়া মুশকিল হবে, বাঁধাগ্রস্থ হবে উন্নয়ন কাজে। ইটভাটার মালিকরা বলেন, ভাটার জন্য যে সকল নিয়ম মানা দরকার তা মেনে সরকারী ভ্যাট জমা প্রদান করে আবেদনও করেছি যদিও সময়রে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উত্তর পাই নাই, তাই পূর্বের ন্যায় নভেম্বর-২৪ ইট বানানোসহ কার্যক্রম শুরু করা হয়, কিন্তু হঠাতেই মাঝ পথে ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতেই স্থানীয় প্রশাসন ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এস.টি ব্রিকেসের মালিক মাহফুজার রহমান মঞ্জু জানান, ভাটা শুরুর আগে সরকারী ভাবে ভ্যাট জমা প্রদান করে কার্যক্রম চালু করা হয় কিন্তু হঠাতেই প্রশাসনের ঘোষনার কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে ফলে স্থানীয় ভাবে উন্নয়ন কাজ ব্যহত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ লক্ষ কাঁচা ইট এখন মাঠে, কোটি কোটি টাকা মানুষের কাছে অগ্রিম নিয়ে ভাটা গুলো পরিচালনা করা হয়, হঠাতেই বন্ধ করে দেয়ায় অগ্রিম টাকা প্রদানকারীরাও পড়েছে চিন্তায়। বেশকিছু সচেতন মানুষজন জানান, যদি অনুমতি না থাকে তাহলে শুরুতেই তা বন্ধ না করে, মাঝ পথে বন্ধ করে মালিকসহ শতশত শ্রমিককে বিপাকে ফেলানোর কি দরকার। শুরুতে বন্ধ না করে মাঝ পথেই ভাটার কার্যক্রম বন্ধ প্রসঙ্গে উত্তর এড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, অনুমতি না থাকায় উপজেলার ৪টি ভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ভ্যাট প্রদানের পরেও ইটভাটা বন্ধ করলো প্রশাসন: দিশাহারা হাজারো শ্রমিক
