ঝালকাঠির রাজাপুরে বিউটি মিস্ত্রী নামের এক নারীর বিরুদ্ধে জাল টাকায় ধার পরিশোধের অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে বিউটি মিস্ত্রীকে ৭ (সাঁত) দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় এবং রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে আদালত পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে পুলিশ জানিয়েন। পুলিশ জানায়, উজেলার নৈকাঠি এলাকার ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে বিউটি মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা (নং ৬) করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নৈকাঠি এলাকার ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণার কাছ থেকে গত পাঁচ মাস আগে একই এলাকার জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী বিউটি মিস্ত্রী ১৭ হাজার টাকা ধার নেন। গত ১৫ দিন আগে বিউটি ওই টাকা পরিশোধ করেন। সঙ্গে আরও ৭ হাজার পুরাতন টাকার নোট পরিবর্তন করে নতুন টাকা দেন সুবর্ণাকে। কিন্তু সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ওই টাকা থেকে সুবর্ণা একটি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে স্থানীয় দোকানে যান। এ সময় দোকানি সুবর্ণাকে জানান, তার টাকার নোটটি জাল। এরপর বাসায় রাখা আরও একুশ হাজার ৫০০ টাকা যাচাই করে তাও জাল নোট বলে সন্দেহ করেন সুবর্ণা। ওই টাকার মধ্যে এক হাজার টাকার ৭টি ও বাকিগুলো ৫০০ টাকার নোট। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান তিনি। বিউটি এর আগেও ইসলামি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার নোট ব্যবহার করেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিউটি মিস্ত্রী বলেন, ওই টাকাগুলো তিনি পাশের কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে পেয়েছেন। তবে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কাউখালী শাখার ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদার এ ব্যাপারে বলেন, আমরা নগদে নয়, ব্যাংক চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকি। রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তাফা বলেন, জাল সাদৃশ্যর নোটগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বিউটি মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে এবং তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিউটি মিস্ত্রীর সাথে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটন করার জন্য আদালতে ৭ (সাঁত) দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে আদালত পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নিবেন।