• মে ১, ২০২৪ ১২:১৮ অপরাহ্ণ

চিলমারীতে বর্ষা মৌসুমে খড়ার থাবা; চাষবাদ নিয়ে দুশ্চিতায় কৃষক

আগ ৮, ২০২১

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
কখনো বন্যা, অতিবৃষ্টি, কখনো শীত কেড়ে নেয় কৃষকের স্বপ,্ন এবারে খড়ায় স্বপ্ন হারিয়ে যাওয়ার চিন্তায় চিলমারীর কৃষক। আষাঢ় মাস দিন পেড়ুলেই শ্রাবণ এই সময় টানা বৃষ্টি আর চারদিকে থৈ থৈ পানি থাকার কথা থাকলেও নেই পানি, নেই বৃষ্টি। প্রচন্ড খড়ায় পুড়ছে মাঠ। পানির অভাবে আমন চাষবাদ নিয়ে দুশ্চিতায় হাজারো কৃষক। খড়ার থাবার দিশাহারা তারা। মাঠে মাঠে শ্যালো বসানোর কাজে ব্যস্ত চাষিরা। পতিত থাকতে পারে বেশির ভাগ জমি। আমনের লক্ষমাত্রা ৮হাজার ২শত হেক্টর ধরা হলেও এখন পর্যন্ত অর্জিত ২হাজার হেক্টর কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, যে সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চারপাশ পানিতে থৈ থৈ করার কথা। বন্যার হানার চিন্তায় দিন পার করার কথা এর ঠিক ঐ সময় প্রচন্ড খড়ায় পানির অভাবে চাষবাদ দিয়ে দুশ্চিতায় দিন কাঁটাচ্ছে কৃষক। প্রচন্ড খড়ায় চারদিক যেন খা, খা করছে, নেই বৃষ্টির দেখা। সময় পেড়িয়ে গেলেও পানির অভাবে পতিত রয়েছে একরের পর একর জমি। অনেকে ডিপ টিউবয়েল বা ডিজেল চালিত শ্যালো দিয়ে পানি নিয়ে জমি চাষে নামলেও রয়েছে অতিরিক্ত খরচের চিন্তায়। শ্যালো ও ডিপ টিউবয়েল দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ ভাগ জমি চাষ হলেও প্রায় ৮০ ভাগ জমি রয়েছে অপেক্ষায়। দিন যাচ্ছে খড়ায় থাবায় দিশাহারা হয়ে পড়ছে কৃষক। শুধু কৃষক নয় প্রচন্ড খড়া আর তাপে মানুষজন কষ্টে দিনাপাত করছেন। কথা হলে মাছাবান্দা এলাকার কৃষক খয়বার বলেন, অনেকদিন অপেক্ষা করলাম কিন্তু নেই বৃষ্টি, পানির অভাবে চাষবাদ নিয়ে চিন্তায় আছি। মাঠে কাজ করছেন হাফিজুর তিনি বলেন, কোন উপায় না পেয়ে শ্যালো দিয়ে পানি নিচ্ছি, পেট তো খালি রাখা যাবেনা, সংসার তো চালাতে হবে, তাই নিজেই খাটছি। যে সময় বৃষ্টি আর বন্যার পানি ভরপুর থাকার কথা এবং সেই পানি দিয়েই চাষবাদ করা হয় মন্তব্য করে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বলেন, আর সেই সময় ডিপ টিউবয়েল বা শ্যালো দিয়ে পানি নিতে হচ্ছে, ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ। তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত খরচ দিয়ে চাষবাদ করে পরে যে কি হবে তা আল্লাহ্ ভালো জানেন। খড়া আর অনাবৃষ্টিতে দিশাহারা কৃষকগন জানান, খড়ার কারনে অনেক জমি পতিত থাকবে, চাষ হবে না কোন ফসল। কৃষকরা দুশ্চিতায় থাকলেও এই সময় তাদের পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দিতে মাঠে কিংবা পাশে নেই কৃষি বিভাগের কোন কর্তকর্তা অভিযোগ কৃষকের। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ৮হাজার ২শত হেক্টর লক্ষমাত্র ধরা হলেও এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২হাজার হেক্টর। কথা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় কুমার বিষাণ দাশ বলেন, কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে।