• মঙ্গল. জুন ২৪, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

বদরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা তেঁতুল গাছ

মার্চ ১০, ২০২৫
বদরগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা তেঁতুল গাছ

ফারুক হোসেন নয়ন, বদরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা:
রংপুরের বদরগঞ্জে প্রকৃতি হতে ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক ঔষুধি গুনসম্পন্ন উদ্ভিদ তেঁতুল। যুগ যুগ ধরেই মানুষ নানা রোগ নিরাময়ে তেঁতুল থেকে ভেষজ উপায়ে ঔষুধ তৈরির মাধ্যমে তা সেবন করে সুস্থতা লাভ করে আসছে। মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারনে অত্যাধিক ব্যয়বহুল আধুনিক চিকিৎসা গ্রহন করতে পারে না।ব্যয়বহুল চিকিৎসার হাত থেকে বাচতে এক রকম বিনা খরচে স্বল্প সময়ে বহুমুখি রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরি গাছের নাম হলো তেঁতুল।কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষন ও নতুন করে চারা রোপনের উদ্যোগের অভাবে এ ভেষজ গুনসম্পন্ন উদ্ভিদটি আজ বিলুপ্তির পথে।লিগুমাইনোসি গোত্রের সিসালপিনয়েডি উপগোত্রের এ উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম টামারিনডাস ইন্ডিকা। ভেষজবিদগনের মতে;রোগ প্রতিকারে অনেক পদ্ধতিতে তেঁতুল ব্যবহার করা যায়।রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর কাজে বর্তমানে তেঁতুলের আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে। নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকার কারনে খাবার হজমেও এটি দারুন সহায়ক। পেটের বায়ুও হাত-পা জ্বালাতে তেঁতুলের শরবত খুবই উপকারি।পেটের অম্ল,মাথাব্যাথা,ধুতরা ও কচুর বিষাক্ততা থেকে রক্ষা পেতে তেঁতুল ফলের শাঁসের শরবত খেলে শতভাগ সুফল পাওয়া যায়।
তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে সেই পানি জিরার সাথে খেলে আমাশয় ভাল হয়। মুখের ভিতরের ক্ষত সরাতে তেঁতুল পাতার সিদ্ধপানি মুখে নিয়ে দুই তিনদিন ৪-৫ বার গড়গড়া করলে আরোগ্য পাওয়া যায়। একই পানি দ্বারা শরীরের যেকোন নতুন ও পুরোনো ক্ষতস্থান ধুঁয়ে দিলে ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যায়। তেঁতুলের ঔষুধি গুনাগুন ছাড়াও যাবতীয় মুখরোচক খাবার তৈরিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।কথা হয় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আমিনুল ইসলামের সাথে তিনি জানান; যদি এই ঔষুধি গুনসম্পন্ন উদ্ভিদটিকে সুষ্ঠরক্ষনাবেক্ষন,চারা রোপনের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে একদিন হয়তঃ প্রকৃতি থেকে চিরচেনা তেঁতুল গাছটি হারিয়ে যাবে।