• মে ৯, ২০২৪ ২:০১ অপরাহ্ণ

৬ বছরেও দৃশ্যমান হয়নি চিলমারী নদী বন্দরের কার্যক্রম-পরিদর্শনে থাকছে সীমাবন্ধ

জানু ২৮, ২০২৩

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্রুতির কেটে যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ৬ বছর তবুও আলোর মুখ দেখেনি চিলমারী নদী বন্দর। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর মন্ত্রী, এমপি ও কর্মকর্তাদের পরিদর্শনে পেড়িয়ে যাচ্ছে অর্ধযুগ। বছরের পর বছর থেকে প্রহর গুনছে চিলমারীবাসীসহ এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ কবে দৃশ্যমান হবে নদী বন্দর। নাকি ঘোষনাই থাকবে সীমাবন্ধ। অর্ধযুগের অধিক সময় পেড়িয়ে গেলেও নদী বন্ধরের কার্যক্রম চালু না হওয়ায় হতাশায় দিন গুনছে এই অঞ্চলের মানুষজন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী চিলমারী সফরে আসলে চিলমারী নদী বন্দর চালুর ঘোষনাদেন। আনন্দ আর উল্লাসে মেতে উঠে চিলমারীসহ জেলার মানুষ। শুধু তাই নয় আনন্দ মিছিলে আর মিষ্টি বিতরন হয় একাধিকবার। এরপরেই ঐ মাসের ২৩ তারিখ উপজেলার রমনা নৌ-ঘাটে নদী-বন্দরের উদ্বোধন করেন তৎকালিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। আশা আলো বেড়ে যায় চিলমারীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের। সকলে চেয়ে থাকে কবে আলোর মুখ দেখবে চিলমারী নদী-বন্দর, কবে ফিরে পাবে তারা চিলমারীর হারানো ঐতিহ্য? কবে ঘুচবে তাদের দুঃখ কষ্টের দিনগুলো। কিন্তু কেটে যাচ্ছে মাসের পর মাস বছরের পর বছর আশার আলোর মধ্যে দেখা দেয় অন্ধকার। আবারো সারা জাগে পরিদর্শনে আসেন ২০১৮ সালের জুন মাসে তৎকালিন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান অতি শীঘ্রই বন্দর প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করা হবে আশ্বাস দেন। কিন্তু আশ্বাসের মধ্যেই থাকে সীমাবন্ধ। আবারো হতাশা দুরসহ আশ্বাস্ত করতে ধারাবাহিকতা ভাবে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে নৌ-পরিবহন মন্ত্রানালয়ের সচিব আবদুস সালাম, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভুটান অ্যাম্বাসির পক্ষ ভুটান অ্যাম্বাসির সিডিএএআই কি জাং ওয়াং চুক, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক (এমপি) পরিদর্শন করেন এবং সকলে দ্রুত চালুর হবে বলে আশ্বাস দেন কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও নদী বন্দরের কার্যক্রম চালুসহ দৃশ্যমান কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশায় বেড়েই চলছে চিলমারীবাসী। এছাড়াও পরিদশর্নে আসেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সচিব মামুন-আল-রশিদ, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা। সকলের একই কথা দ্রুত বন্দরটি চালু করা হবে কিন্তু ঘোষনায় সীমাবন্ধ থাকায় আশার আলো হারিয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের বুক থেকে। চিলমারী নদী বন্দর এলাকার মানুষজন জানান, খালি মন্ত্রী, এমপি, কর্মকর্তারা আসেন আর যান কিন্তু হামার বন্দর তো উদ্বোধনের ৬বছরেও বেশি সময় পার হইলো কিন্তু চালু হইলো না, আর কবে হইবে, না হইবে না, তাও তো বুঝি না গো ভাই। এই বন্দর চালু হইলে কত মানুষ যে কর্মস্থান হইবে সাথে মানুষের সুখও হইবে বাহে। তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন, তাই করেন কিন্তু ঘোষনার এতো বছর হইলো হামার বন্দর চালু হইলো না। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, চিলমারী নদী বন্দর চালু হলে মানুষের বেকারত্ব দূর হবে। তিনি বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শেষ হলেই দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান।