• সোম. জুন ২৩, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

নালিয়ার দোলায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ চূড়ান্ত : সাশ্রয় হবে সাড়ে ৮২ কোটি টাকার বেশি

জানু ১৯, ২০২৩

৪০০ একর জমি চিহ্নিত।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণে ইউজিসির টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত সঠিক
নালিয়ার দোলায় ভূমি অধিগ্রহণেই সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় সাড়ে ৮২ কোটি টাকা
বালু ভরাটে সাশ্রয় হবে আরও কয়েক কোটি টাকা।

বিশেষ প্রতিবেদক:
নালিয়ার দোলায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়েছে। এখন চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম। স্থান নির্ধারণে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি)’র টেকনিক্যাল কমিটি কুড়িগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নালিয়ার দোলাকে চূড়ান্তভাবে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্বাবিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের সিদ্ধান্ত দেয়ায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে ইউজিসির টেকনিক্যাল কমিটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নালিয়ার দোলার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। এর আলোকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নালিয়ার দোলায় ২৫০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে পত্র দেন। সে মোতাবেক নালিয়ার দোলায় জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের নীতিমালা মেনে ইতোমধ্যে ঐ এলাকায় ৪০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় অবহেলিত কুড়িগ্রামের উন্নয়নে জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অর্থনৈতিক জোনসহ একটি কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ^বিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ধাবাবাহিকভাবে কার্যক্রমের পর কুড়িগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণে তিন কিলোমিটার দূরে নালিয়ারদোলা নামক স্থানে বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য ২৫০শতক জমি বরাদ্দের সুপারিশ করে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটি। প্রায় ২ হাজার একর ব্যাপী খোলা জায়গায় অবস্থান এই নালিয়ার দোলার। রয়েছে রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ। এখানে চিলমারী নৌবন্দরে ব্রহ্মপূত্র নদের উপর সেতু নির্মাণ করা হলে কুড়িগ্রামের সাথে গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকার সাথে সহজ যোগায়োগ স্থাপন হবে। এছাড়াও জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের শিক্ষার্থীরা সহজ যোগাযোগের মাধ্যমে কুড়িগ্রামে এসে পড়তে পারবে। জেলার রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সুশিল সমাজ, শিক্ষক, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যগণও চান এখানে দ্রুত কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করা হোক।
নালিয়ার দোলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন জাানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সকল ধাপ পেরিয়ে নালিয়ার দোলায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে নানা ধরণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলবাদ সমর্থিত একটি স্থানীয় দৈনিক ধারাবাহিকভাবে মনগড়া, কাল্পনিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করছে। যা হতাশাজনক। অথচ ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থান নির্ধারণের জন্য প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সুধীজনসহ সকল পক্ষকে সম্পৃক্ত করে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলী, সহসভাপতি চাষি করিম, এসএম ছানালাল বকসী, উত্তববঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম, কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার (অবঃ) মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক মেজর (অবঃ) আব্দুস সালাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মোঃ নাসির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নুর বখত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাইদ হাসান লোবান, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, জেলার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অন্যান্য সুশীল ব্যক্তিবর্গ।
এ সভায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্থানীয় নাগরিকদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে নালিয়ার দোলা, টগরাইহাট ও দাশেরহাটে স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। সবার মতামতে সেখানেও সব দিক বিবেচনায় নালিয়ার দোলাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। তারপরও সবাই একমত হন যে, ইউজিসির টেকনিক্যাল কমিটি সরজমিন তদন্ত শেষে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা সকল পক্ষ দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেনে নেবে।
তিনি আরও জানান, কয়েকজন প্রকৌশলী স্বেচ্ছায় সরেজমিন মাঠ জরিপ করে মতামত দেন যে, অন্য এলাকার তুলনায় নালিয়ার দোলায় ভূমি অধিগ্রহণেই সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় সাড়ে ৮২ কোটি টাকা এবং বালু ভরাটে সাশ্রয় হবে আরও কয়েক কোটি টাকা। কাজেই সার্বিক বিবেচনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণে নালিয়ার দোলাকে নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক ও বাস্তব সম্মত।
গ্রামীণ ফোনের সাবেক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম রকেট জানান, সরকার ২০২৩ সালের জন্য মৌজা ভিত্তিক জমির মূল্য নির্ধারণ করেছে। উক্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন মোতাবেক প্রতাপ মৌজার ডাঙ্গা প্রতি শতাংশ জমির নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য ২৩,৭৫৩ টাকা এবং দোলা প্রতি শতাংশ জমির বিক্রয় মূল্য ২৬,১১৫ টাকা। বাঞ্চারাম মৌজার ডাঙ্গা প্রতি শতাংশ জমির বিক্রয় মুল্য ৫১,১৫৬ টাকা এবং দোলা জমির মূল্য ১৬,১১৫ টাকা। সড়া মৌজার ডাঙ্গা শতাংশ প্রতি বিক্রয় মূল্য ৪৮,৫১৪ টাকা এবং দোলা জমির মূল্য ১৭,০১৫ টাকা। সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির বিক্রয় মুল্যের তিনগুন টাকা পরিশোধ করা হয়। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণত: দোলা ও একফসলী জমি অধিগ্রহণে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। উক্ত হিসেবে আলোকে দোলার জমির মূল্যমান ধরে হিসেব করলে দেখা যায় টগরাইহাটের প্রতাপ মৌজার ক্ষেত্রে সরকারের ২৫০ একর দোলা জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যয় হবে ১৯৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ইউজিসির সূত্র মতে সেখানে খাস জমি অধিগ্রহনের কোন সুযোগ নেই। কারণ সেখানে খাস জমি যেটুকু আছে তা বাংলাদেশ রেলওয়ের। অথচ নালিয়ার দোলায় ২৫০ একর জমির মধ্যে অর্ধেক বাঞ্চারাম মৌজার অধিগ্রহণ করা হলে দোলা জমির ক্ষেত্রে লাগবে ১০৮ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং সড়া মৌজার দোলা জমির ক্ষেত্রে লাগবে ৬৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৬২ হাজার ৫ শত টাকা। উভয় মৌজার ক্ষেত্রে মোট খরচ হবে ১৭২ কোটি ১৮ লক্ষ ১২ হাজার ৫ শত টাকা। অন্যদিকে নালিয়ার দোলায় রয়েছে ফাঁকা খাস জমি ৮৫ একর, এ বাবদ সরকারের সাশ্রয় হবে ৫৮ কোটি ৫৪ লক্ষ ০৩ হাজার ৫ শত টাকা। এছাড়াও ০.৫০ একর জমি দান হিসেবে পাওয়া যাবে যার মূল্য ২৫ লক্ষ ৫২ হাজার ২’ শত ৫০ টাকা। দানকৃত ও খাস জমি মিলে বাঁচবে ৫৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭’শত ৫০ টাকা। মোট খরচ ১৭২,১৮,১২,৫০০ টাকা থেকে নালিয়ার দোলায় দানকৃত ও খাস জমির মূল্য ৫৮,৭৯,৫৫,৭৫০ টাকা বাদ দিলে থাকবে ১১৩ কোট ৩৮ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭’শ ৫০ টাকা, যা সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু টগরাইহাটের প্রতাপ মৌজায় জমি অধিগ্রহণেই খরচ পড়বে ১৯৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতাপ মৌজায় খরচের তুলনায় নালিয়ার দোলায় কম দাম, খাস জমি ও দানকৃত জমির কারণে শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণেই সরকারের সাশ্রয় হবে ৮২ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ২’শ ৫০ টাকা।
এই প্রকৌশলী আরো বলেন, বালি ভরাটের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় নালিয়ার দোলায় গড় গভীরতা রাস্তা থেকে ৮ ফুট কিন্তু টগরাইহাট স্থানের গড় গভীরতা রাস্তা থেকে ১২ ফিট (প্রায়)। সেক্ষেত্রে টগরাইহাটে মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ মাটি বা বালি দ্বারা ভরাট করতে হবে। নালিয়ার দোলা ভরাটের জন্য মাটি কম লাগবে এবং পার্শ্ববর্তী ধরলা নদীর বুকে জেগে ওঠা চর কেটে নদী ড্রেজিং করে সেই বালু দিয়ে সহজে নালিয়ার দোলা ভরাট করা যাবে। এতে ধরলা নদী ড্রেজিং হবে এবং স্বল্প খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভরাট হবে। এতে সরকারের মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে অন্য স্থানের তুলনায় নি:সন্দেহে কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু বলেন, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিন্ধান্ত একটি চমৎকার জায়গায় নেয়া হয়েছে। এ স্থানটি কুড়িগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩কি.মি. দূরে কুড়িগ্রাম-উলিপুর-চিলমারী সড়কের পাশে নালিয়ার দোলা নামক স্থানে। এর পাশে রয়েছে রেল লাইন এবং নিরাপদ দূরত্বে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা নদী। ফলে সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ সহজে স্থাপন করা যাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। নালিয়ার দোলায় প্রায় ২০০০ একর জমি একসঙ্গে থাকায় ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসারিত করবার ব্যাপারে অপার সম্ভাবনা থাকছে। এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে দৃষ্টিনন্দন অর্জুনডারা ক্যানেল। পাশেই রয়েছে মৎস্য বিভাগের খামার, কৃষি বিভাগের খামারবাড়ি। সব মিলিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একটি যথোপযুক্ত স্থান। একই সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পর্যটকদের জেলা শহর পেরিয়েই আসতে হবে। এ কারণে পশ্চাপদ কুড়িগ্রাম জেলা শহরে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে। ঘটবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম সামিউল হক নান্টু বলেন, একটি মহল কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ^বিদ্যালয়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর কথা চিন্তা না করে তারা নিজেদের সুবিধা বিবেচনা করে বিভিন্ন নেতিবাচক উদ্যোগ নিচ্ছে। ভুল পথ থেকে তাদের সড়ে আসা উচিত। যত দ্রুত সম্ভব নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে এরকম প্রত্যাশা আমার।