• মঙ্গল. জুন ২৪, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

কনকনে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

জানু ৫, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম। বৃহঃবার সকাল ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহঃবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েকদিন এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চারশতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা থেকে বিভিন্ন পণ্য বেচতে শীতকষ্ট উপেক্ষা করে বেরিয়েছেন শাহের আলী। তিনি জানান, প্রতিদিনের রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে হয়। তাই প্রচন্ড শীতে পণ্য বেচতে শহর অভিমুখে বেরিয়েছেন।
জেলা সদরের চরসিতাইঝাড় এলাকার মো.হযরত আলী বলেন, ‘ঠেলা গাড়িতে বাঁশ নিয়ে কুড়িগ্রামের হাটে যাচ্ছি। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারণে ঠেলা গাড়ি ঠেলে যাওয়া মুশকিল হয়ে পরছে।’
কুড়িগ্রাম পৌরসভার টাপু ভেলাকোপা গ্রামের আইনুদ্দিন বলেন, জমিতে পানি সেচ দিয়ে কৃষিশ্রমিক ঠান্ডায় কাজ করতে না চাওয়ায় নিজে জমিতে চারা লাগাতে বাধ্য হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই আজ নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।