স্টাফ রিপোর্টার:
“এ কোন সাংবাদিক ক্যামেরা নামাও ছবি তোলা যাবে না” বলে সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া জাকির। বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের কয়ারপাড় বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখাযায়.বুধবার সকাল ৮ টা থেকে চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে শুরু হয়। ফকিরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়.ফকিরেরহাট হাফিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা. খালেদা শওকত পাটোয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কয়ারপাড় বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চললেও ভোটারের উপস্থিত উল্লেখ যোগ্য ছিল না। এসময় কয়ারপাড় বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক প্রার্থী সোলায়মান আলী সরকার. তার কন্যা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া জাকির. রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মেম্বার মোনায়েম সরদারসহ দলীয় লোকজন ও সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ভোট চলাকালিন কেন্দ্রের বাহিরের উপস্থিতির ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে সুরাইয়া জাকির সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। তিনি বলেন “এ কোন সাংবাদিক ক্যামেরা নামাও ছবি তোলা যাবে না” বলে ক্যামেরা হাতিয়ে নেবার চেষ্ঠা করেন। তাদের বক্তব্য নিতে চাইলে প্রার্থী ও তার কন্যা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তথ্যানুন্ধানে জানাযায়. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া জাকির রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সেখানকার ভোটার তিনি। রৌমারী উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ জুলাই মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেখানেও বুধবার উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সুরাইয়া জাকির ভোট প্রদান করেননি বলে জানা যায়। তার ভোট কেন্দ্র ছিল ৪৫নং রৌমারী কেরামতিয়া আদর্শ ফাজিল মাদ্রাসা। চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তার পিতা সোলায়মান আলী সরকার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
রৌমারী কেরামতিয়া আদর্শ ফাজিল মাদ্রাসার প্রিজাইডিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন. আমার এই কেন্দ্রে মোট ভোটার এক হাজার ৯১৯জন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী ভোট দিয়েছেন কিনা আমার চোখে পড়েনি।
এই বিষয়ে সুরাইয়া জাকিরের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন.আমার চোখে পড়েনি। কোন প্রার্থী অভিযোগও করেনি।