• মে ৯, ২০২৪ ১২:৪২ অপরাহ্ণ

চরফ্যাশনের পর এবার কুড়িগ্রামে হাঁসের কালো ডিম

অক্টো ৩১, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলার জেলার চর ফ্যাশনের পর এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে মিললো পাতি হাঁসের কালো ডিম। নাগেশ^রী উপজেলার মূল খন্ডের সাথে নদ দ্বারা বিছিন্ন নারায়নপুর ইউনিয়নের পরামানিক গ্রামের দু’টি কালো ডিম পেরেছে একটি পাতি হাঁস। হাঁস কালো ডিম দেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিম দেখতে শত-শত মানুষ ভীর করছে। হাঁসের কালো ডিম পাড়াকে অস্বাভাবিক বলেছে প্রাণীবিদরা।
সরেজমিনে দেখাযায়, নারায়নপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পূর্ব নারায়নপুর পরামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে। সে কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। লেখা পড়ার পাশাপাশি বাড়িতে থেকে কৃষি কাজ করেন তিনি। প্রায় ৬ মাস আগে শশুর বাড়ি থেকে পাঁচটি হাঁস উপহার পান। প্রতি পালন করার পর গত ২৯ অক্টোবর একটি হাঁস ডিম দেয়। সকালে সেই ডিম দেখে অবাক হয়ে যায় ইব্রাহিম। সাদা ডিমের পরিবর্তে দেখতে পান কালো ডিম। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ওই ডিম দেখতে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। পরদিন ৩০ অক্টোবর আবারও একই ধরনের আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। এখবর চাউর হতেই দূর দূরান্ত থেকে ডিম দেখতে ছুটে আসেন মানুষ।
ইব্রাহিম আলী জানান, প্রায় ৬মাস আগে উপহার পাওয়া পাঁচটি হাঁসের মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। অপর চারটি মেয়ে হাঁস। পাঁচটি হাঁসই দেশীয় প্রজাতির পাতি হাঁস। তাদেরকে অতি যত্নে সে এবং তার স্ত্রী রেহেনা বেগম প্রতিপালন করছেন। এদের মধ্যে দুটি কালো রং এর হাঁস রয়েছে। তার একটি এমন কালো ডিম দিয়েছে। হাসঁটি শনি,রবিবার দুদিন দুটি কালো রংয়ের ডিম পাড়লেও আস সোমবার কোন ডিম পারেনি। তবে এখনো সুস্থ ও সবল রয়েছে হাঁস।
তার স্ত্রী রেহেনা বেগম অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী বলেন,পড়াশোনার জন্য আমি বাড়িতে না থাকলে আমার স্বামী হাঁস গুলোর দেখভাল করেন। কিন্তু শনিবার ২৯ অক্টোবর সকালে হাঁসের খাঁচা খুলে দিলে হাঁস গুলো বের হয়ে যায়। এসময় কালো রংয়ের একটি ডিম থাকতে দেখতে যায়। প্রথমে ডিমটি দেখে অবাক ও ভয় লাগে। পরে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডেকে ডিমটি বের করে আনি। পরদিনে ৩০অক্টোবর রবিবার একই ধরনের আরেকটি ডিম পাওয়া যায়। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশী ও দূর দূরান্তের মানুষ এক নজর ডিমটি দেখতে বাড়িতে ভীর করছে।
তিনি আরোও জানান,হাঁস গুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবেই সেগুলো প্রতি পালন হচ্ছে।
প্রতিবেশি ৭০বছর বয়সী মোজাহার আলী বলেন,আমার বয়সে এইবার প্রথম হাঁসের কালো ডিম দেখলাম। কোন দিন শুনিও নাই হাঁস কালো রংয়ের ডিম দেয়। কালো ডিম পেরেও হাঁসটি অন্যান্য হাসের মতো স্বাভাবিক চলা ফেরা করছে।
নাগেশ^রী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: আশিকুজ্জামান বলেন, ভোলার চর ফ্যাশনের পর কুড়িগ্রামে হাঁস কালো ডিম পারার ঘটনা দ্বিতীয়। হাঁস সাধারণত কালো ডিম পারে না। জিংডিং জাতের এক প্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। এছাড়াও ভারতীয় ব্রিডের কাদার নাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম পারে। যার মাংসও কালো। হাঁস কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা থাকে। তিনি এই কালো ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেন।