• মে ৭, ২০২৪ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ব্রহ্মপুত্রের বুকে ব্যস্ত কৃষক

অক্টো ১২, ২০২২ #কুড়িগ্রাম, #চিলমারী

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
ব্রহ্মপুত্র কখনো কাঁদায় আবার কখনো মুখে ফুটিয়ে তোলে হাসি। কখনো ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে তীরবর্তী মানুষ। আবার জেগে উঠা চরে ফসল ফলিয়ে হয়ে উঠে তারা সাবলম্বী। বর্ষায় রাক্ষসী হয়ে উঠা ব্রহ্মপুত্রের বুকে এখন জেগে উঠছে শতশত চর। ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে উঠা চরে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষক স্থানীয় জাতের ধান (গানজিয়া) চাষে। মুখে হাসি নিয়ে জেগে ওঠা চরের উর্বর পলিমাটিতে ধান চাষে নেমে পড়েছে ব্রহ্মপুত্রপাড়ের কৃষক। বিনা সেচ, অল্প পরিশ্রম ও খরচে ধান চাষে প্রতি বছর লাভবান হয় এই অঞ্চলের কৃষকরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা তিনটি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্রের বুকে অবস্থিত। প্রতি বছর বন্যা আর ভাঙ্গন শতশত মানুষকে নিঃস্ব করে দেয়। আবার এই ব্রহ্মপুত্রে বুকে জেগে উঠা চরে এই অঞ্চলের মানুষরা ফসল ফলিয়ে সাবলম্বী হয়ে উঠে। ভাঙ্গন তাদের বড় শত্রু হলেও বন্যাকে তারা আশির্বাদ মনে করে। বন্যা হলে চরগুলোতে পলি জমে জমি গুলো উর্বর করে তোলে এবং কোন প্রকার সেচ, সার ছাড়াই ফসলের বাম্পার ফলন হয়। চলতি মৌসুমে নদীর তীরবতীর্ কৃষকরা ইতি মধ্যে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে উঠা চরে চরে ধান চাষ। স্বল্প খরছে বিনা সেচে তারা অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য চর জেগে উঠার সাথে সাথে দ্রুত নেমে পড়েছে মাঠে। বজড়াদিয়ার খাতা জেগে উঠা চরে চাষে ব্যস্ত কৃষক মোসলেম, নুর আমিন জানান, প্রতি বছর বন্যা, ভাঙ্গনে বেশ ক্ষতি হয় তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় জাতের গানজিয়া ধানের চাষ করছি এবং এই চরে প্রায় ৬০জন কৃষক চাষ করবে প্রায় ১শত বিঘা জমিতে।
এসময় কাজে ব্যস্ত কৃষক শহিদুল, হায়দার আলী বলেন, বিনা সেচে এবং অল্প শ্রমে ও খরচে বেশি মুনাফা হয় বলেই জেগে উঠা চরে গানজিয়া ধান চাষ করে এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ৮হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে শুধু চরাঞ্চলে লক্ষমাত্রা রয়েছে ২হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে।
যদিও চরবাসী বলছেন, কৃষি অফিসের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী তা রোপন শেষ হয়েছে এবং সদ্য জেগে উঠা চরে স্থানীয় কৃষকরা নতুন করে ধান রোপন করছে। চরাঞ্চলবাসী বলেন, সদ্য জেগে উঠা চরে স্থানীয় প্রজাতির ধান চাষ করে নদীর তীরবর্তী কৃষকরা লাভবান হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ নুর আলম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে উঠা চরে বিনা সেচে এবং কম খরচে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ইতি মধ্যে চরাঞ্চলের লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে গেছে।