চিলমারী প্রতিনিধিঃ
নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই চলছে বালু উত্তোলন। অবৈধ ড্রেজারের থাবায় হুমকির মুখে বিদ্যালয়সহ ফসলি জমি। উত্তোলন হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের বালি আর হুমকিতে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় উঠছে বালি ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক। নিরব প্রশাসন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের মাটি ভরাট করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেজার। অবৈধ ড্রেজারের থাবায় খেরুয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়েছে হুমকির মুখে। শুধু তাই নয় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি। ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে মাটি ভরাট কার্যক্রম বেশকিছু দিন থেকে বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ ও পুকুর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালিমাটি উত্তোলন করছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন থেকে বালিমাটি উত্তোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে গভীরতা ফলে অতিবৃষ্টি বা বন্যার সময় বা যে কোন মূহুত্বে বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকবাসী। এলাকাবাসী জানান, আমরা বলে লাভ কি? নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশাদুজ্জামান আসাদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে তো ড্রেজার দিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে। তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান তুলছে এখানে কি তার বিরুদ্ধে বলতে পারমো। নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েকজন বলেন, কয়েকদিন আগে তো ইউনিয়ন পরিষদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন নির্বাহী অফিসার, সেই সময়ও ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলন চলমান ছিল কিন্তু তিনি তো বন্ধ করলেন না, তাহলে বিদ্যালয়টির ক্ষতি হলে কে এর দায়িত্ব নিবে আমাদের সন্তানরা পড়াশুনা কোথায় করবে। এব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আশাদুজ্জামান। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, আপনারা তো দেখেছেন যেভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে এতে করে অতিবৃষ্টি বা বন্যা হলে বিদ্যালয় তো আর দাঁড়িয়ে থাকবে না। বালি উত্তোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে, কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ভাই আমরা কি কবো সবেই ক্ষমতা, শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য ক’জন চিন্তা করে। তারা আরো জানান, বিদ্যালয়টির ক্ষতি হলে শতশত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পড়বে অন্ধকারে। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে।
চিলমারীতে অবৈধ ড্রেজারের থাবা; হুমকির মুখে বিদ্যালয় ও ফসলি জমি
