• মঙ্গল. জুন ২৪, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

দুর্ঘটনা রোধে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের চিন্তা

জুলা ২৮, ২০২২

দুর্ঘটনা রোধে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের চিন্তা রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্সের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
সভার ব্রিফিংয়ে ১১১ সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেলে দূরপাল্লার রাইডশেয়ারিং চলবে না। ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয় মোটরসাইকেলে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের। তবে টাস্কফোর্স বন্ধের সুপারিশ করেছে।
পরিবহন মালিকরা বাসের আয়ুস্কাল ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ এবং ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের আয়ুস্কাল ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করার প্রস্তাব করেছিলেন। এ প্রস্তাব নাকচ করেছে বিআরটিএ, বুয়েট প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি। মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি জব্দ নয় স্ট্ক্র্যাপ করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চারটি টার্মিনাল নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মাণের পর সড়কে আর বাস পার্ক করে রাখা যাবে না।
চালকদের লাইসেন্স নবায়নে ডোপ টেস্টের ফি ৯০০ টাকা থেকে কমানো ও হয়রানি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে টাস্কফোর্সের সভায়। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ১২২টি শূন্য পদে পাঁচ মাসের মধ্যে নিয়োগ এবং হাইওয়ে পুলিশের জনবল বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়েছে। শাজাহান খান বলেন, মালিক শ্রমিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। নতুন সমস্যা হলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নামে সড়ক-মহাসড়কে টোল আদায়। অথচ ২০১৫
সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক-মহাসড়ক থেকে টোল তোলা যাবে না। শুধু টার্মিনাল থেকে টোল আদায় করা যাবে।
সড়ক পরিবহন আইনে পরিবহন শ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, শ্রমিকরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। মালিক-শ্রমিকরা আলোচনা করে দ্রুত এর সমাধান করবেন।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে মনির হোসেন পাঠান, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক নেতাসহ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।