• মে ৯, ২০২৪ ৩:১৬ অপরাহ্ণ

সাক্ষরতার হারে নারীদের চেয়ে এগিয়ে পুরুষ

জুলা ২৭, ২০২২

দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সাক্ষরতার হারে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষ।

গত ১০ বছরে দেশে সাক্ষরতার হারে বড় পরিবর্তন এসেছে। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। 

জনশুমারি প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের সাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৫৩.৬৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় সাক্ষরতার হার বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী পল্লী এলাকার মোট সাক্ষরতার হার ৭১.৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৩.২৯ শতাংশ, নারীদের সাক্ষরতার হার ৬৯.৯৩ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৫১.৯৭ শতাংশ। এছাড়া, শহর এলাকায় মোট সাক্ষরতার হার ৮১.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের ৮৩.১৮ শতাংশ ও নারীদের ৭৯.৩০ শতাংশ।

২০১১ সালের আদমশুমারিতেও পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় সাক্ষরতার হার বেশি ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে পল্লী এলাকার মোট সাক্ষরতার হার ছিল ৪৭.১৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.০১ শতাংশ আর নারীদের সাক্ষরতার হার ৪৫.৩৮ শতাংশ। এছাড়া, ২০১১ সালে শহর এলাকায় মোট সাক্ষরতার হার ছিল ৬৬.৪০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৬৯.৩০ শতাংশ, নারীদের সংখ্যা ছিল ৬৩.২২ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, মোট সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে; ৭৮.০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে; ৬৭.০৯ শতাংশ।