• মঙ্গল. জুন ২৪, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং ॥ জনজীবন অতিষ্ট

জুলা ৪, ২০২২

রবিউল ইসলাম বেলাল, ফুলবাড়ী:
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আকাশে কালো মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ বন্ধ। অনবরত চলে ভেলকিবাজি। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৫২ হাজার ২শত জন। গ্রাহকের প্রয়োজন মেটাতে লাগে সাড়ে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতে দিয়ে সরবারাহ করা হচ্ছে। যার ফলেই পরিপুর্ণ ভাবে গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্চিত। একটু বৃষ্টির ফোঁটা পড়লেই বিদ্যুৎ উধাও। দিনে ও রাতে হালকা বাতাস বা বৃষ্টি হলে সারারাত বিদ্যুৎ বন্ধ। এখন বেশি গরম পড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও বেশি, কিন্তু বরাদ্দ কম। ফলে বিদ্যুতের দেখা সহজে মেলেনা। চলে লোডশেডিংয়ের খেলা। পল্লীবিদ্যুতের দেয়া নাম্বারে ফোন করলেও সহজে ফোন রিসিভ হয়না। তাদের কাছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রকৃত কারন জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের লোকজন বিভিন্ন অজুহাত দেখান। একদিন ঝড় বৃষ্টি হলে গাছপালা পড়ে ও অন্যান্য কারনে সরবারাহ লাইন যে পরিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা পরিস্কার করতে প্রায় তিন চারদিন সময় লেগে যায়। পুনরায় লাইন চালু করা হলে লাইনে গাছপালা পড়ায় কিছুক্ষন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বছরে প্রায় কয়েকবার মাইকিং করে লাইনের গাছপালার ডাল ছাঁটাইয়ের কাজ চলে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহক শাকিল মিয়া, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বন্ধন, বড়ভিটা ইউনিয়নের রাসেল খন্দকার, কাশিপুর ইউনিয়নের আতিয়ার রহমান, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হরিপদ সরকার ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমেরা বলেন, প্রায় সারাদিন রাত চলে বিদ্যুতের আসা যাওয়া। এতে বাসা বাড়ীর ফ্রিজ, টিভি, পানির পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট লোকজনকে অভিযোগ করেও সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়না।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমাদের মেইন গ্রীট লাইনের সমস্যা। ৫২ হাজার গ্রাহককে একযোগে বিদ্যুৎ সেবাদানে সমস্যা হচ্ছে। এই উপজেলায় সাড়ে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু বরাদ্দ পাচ্ছি ৪ মেগাওয়াট। যার ফলে সমস্যা। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া যাবে আশা করছি।