• এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১:৫১ অপরাহ্ণ

রাজারহাটে বোতলারপাড় সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

সেপ্টে ১২, ২০২০

রাজারহাট প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বোতলারপাড় গ্রামে ‘বোতলারপাড় সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে ওই গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে দুটি করে গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী’ ব্যানারে গতকাল সকাল ১০ টায় এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে বারি-৪ আম এবং থাই-৭ জাতের পেয়ারার চারা রোপণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, আহ্বায়ক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুল আলম, সংগঠনের সদস্য-সচিব রংপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রদীপ মিত্র আপেল, সিরাজুল ইসলাম মুকুল প্রমূখ। করোনাকালে গ্রামকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে ‘বোতলার পাড় সুরক্ষা কমিটি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কোভিড-২০১৯ মহামারীতে তারা গ্রামের সামর্থ্যবানদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সামর্থ্যহীনদের মাঝে ইতোপূর্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। এ ছাড়াও গ্রামের সব বাড়িতে সব্জির বীজ বিতরণ করা হয়েছে এবং ভাঙা সড়ক নিজেদের উদ্যোগে মেরামত করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেনÑ ‘দেশের সব গ্রামগুলো সুরক্ষিত হলে সারাদেশ সুরক্ষিত হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এই মডেল সারাদেশ গ্রহন করলে সারাদেশে সামগ্রিক শৃঙ্খলা ফিরতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগবেনা। তারই অংশ হিসেবে আমরা বাড়ি বাড়ি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহন করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে এটি অনুসরণীয় একটি দৃষ্টান্ত।’ কৃষিবদি নুরজ্জামান বলেনÑ আমরা যে গ্রামে জন্মেছি সেই গ্রামের প্রতি আমাদের একটি বড় দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা গ্রামকে সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সংগঠনের পক্ষে কাজ করছি। আমরা গ্রামের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ফলদ চারা বিতরণ করছি।’ আহ্বায়ক মাহাবুুল আলম বলেনÑ আমরা গ্রামে খুব সারা পাচ্ছি। আমরা আশাবাদী এ গ্রামের সবরকম বিপদে আমাদের সংগঠন অসহায় মানুষের পক্ষে বড় সহায়ক শক্তি হয়ে উঠবে। সদস্য-সচিব প্রদীপ মিত্র আপেল বলেনÑ ‘তরুণ-যুব সমাজ যাতে সঠিক পথে পরিচালিত হয় সেদিকেও আমাদের বড় দৃষ্টি আছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েকদিন ধরে গর্ত করা এবং সার দেওয়ার কাজ নিশ্চিত করেছি। আজ চারা দিলাম। আমরা আশাবাদী এ চারাগুলো নষ্ট হবেনা। গ্রামবাসী সিরাজুল ইসলাম বলেন – আমি মনে করি গ্রাম উন্নয়ন এর একটি ধাপ। অন্যান্য গ্রামের মানুষ এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হবে।