• মঙ্গল. মে ১৩, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

ডোবায় ভাসছিল একই পরিবারের তিন লাশ

অক্টো ১৫, ২০২০

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
বাড়ী পার্শ্বের ডোবা থেকে একই পরিবারের তিনটি লাশ উদ্বার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রামে। উদ্বারকৃত লাশ তিন জনেই একই পরিবারের মা ছেলে ও মেয়ে। তারা হলেন, আকবরের স্ত্রী আরিফা খাতুন(৩০) মেয়ে আঁিখ(১০) ও চার বছর বয়সী শিশু আরাফাত। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্নহত্যা তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে আকবরের বোন ইয়াসমিন তাদের বাড়ীর পার্শ্বে ছোট ডোবাতে তার ভাবীর পড়নের শাড়ি ও ভাতিজার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসে ডোবায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় । পড়ে পুলিশ গিয়ে সকাল ৮টায় লাশ উদ্বার করে।
আরিদার স্বামী আকবর জানান, গত বুধবার সন্ধায় আমার বাবার সাথে টাকা পয়সা নিয়ে একটু কথাকাটি হয়। এ সময় সে আমাকে বলে তোমার এত ঋণ মাহাজন তুমি কিভাবে পরিশোধ করবা,আমি তোমার সাথে থাকবো না । আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো। এর পরে আমরা রাতে শুয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে দেখি আমার স্ত্রী ছেলে মেয়ে বিছানায় নায়। পড়ে আমি তাদের ডাকাডাকি করি এবং বাড়ীর আশেপাশে খোজাখুজি করি। না পেয়ে ভাবলাম রেগে গিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার শুশুর বাড়ী গিয়েছে কিনা এ সন্দেহে সেখানেও খোজ নেই কিন্তু পায় নি। পড়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি তাদের লাশ ডোবায় পড়ে আছে।
আকবরের শ্বশুর নজরুল জানান, আমার জামাই বেটির মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাটি হতো লোক মুখে শুনেছি। তবে কেন এমন হল তা ভেবে পাচ্ছি না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটি হত্যা না আতহত্না তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
স্থানীয়রা জানান, ফেরি করে সংসার চালাতো আকবর। তাদের চার সদস্যর সংসারে অভাব অনাটনের কারণে মাঝে মধ্যেই ঝগড়াঝাটি হত।
রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন, থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত)আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরির্দশন করেছেন। এ বিষয়ে ওসি এস.এম জাহিদ ইকবাল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিফার শ্বশুর, ননদ ও স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।