• মে ৩, ২০২৪ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি বর্ধিত সভা, বিপাকে নেতাকর্মীরা

অক্টো ৩, ২০২০

রবিউল ইসলাম বেলাল, ফুলবাড়ী: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী গ্রুপের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বড়ভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলাল হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বন্ধন, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হবিবর রহমান হবি, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক, বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খয়বর আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক উত্তম কুমার মোহন্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ-হেল বাকী, দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সরকার মনোয়ার পাশা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়াররম্যান মো. গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান মিয়া বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে গত রবিবার একই ইউনিয়নের বড়ভিটা হাই স্কুল মাঠে উপেজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রুপের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়েছিল। এক সপ্তাহ পার না হতেই সেক্রেটারী গ্রুপের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গোটা উপজেলার সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। প্রসঙ্গত তৃনমূল পর্যায়ে ভোটে হেরে যান আতাউর রহমান শেখ। পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ দলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীক পান। তৃণমূলের ভোটে জিতে বিদ্রোহী প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী সরকার। নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে আতাউর রহমান শেখ পরাজিত হলে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে রুপ ধারন করে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে দলের নেতাকর্মীরা। শুরু হয় উভয় গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয় সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীর সরকারকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। পরবর্তীতে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হলেও সভাপতি- সম্পাদক পৃথক পৃথক ভাবে জাতীয় ও দলীয় কর্মসুচী পালন করে আসছেন। এ অবস্থায় উভয় গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দলীয় বিশৃঙ্খলা।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন আহম্মেদ মনজুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হলে মাঠ পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।