• এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

ব্রিজ নয় যেনো মরণ ফাঁদ

সেপ্টে ২৯, ২০২০

নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
ব্রিজ তো নয়, যেনো মরণফাঁদ। ব্রিজে নেই দু’পাশের রেলিং। পাটাতনের অনেক বড় জায়গাজুরে ভেঙ্গে গেছে। দেখলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে বুক। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। শুধু পাটাতন নয় বিশাল গর্ত রয়েছে ব্রিজের মোকাতেও। আশঙ্কা রয়েছে যেকোনো মুহূর্তে ধ্বসে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটানার। এদিকে সংযোগ সড়কটি পাকাকরণের জন্য খোয়া ফেললেও তার কাজ আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। অথচ পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের এবং রাস্তাটির কাজের অগ্রগতি নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলেপের তেপতি থেকে সন্তোষপুরপুর, নাওডাঙ্গাপাড়া, কুটি নাওডাঙ্গা স্কুলেরহাট, তালেবেরহাট হয়ে বয়তুল্লার মোড়ের মাঝামাঝি নাওডাঙ্গা ও নিমকুশ্যা বিলের উপর নির্মিত এই ব্রিজ। ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে নেওয়াশী, রায়গঞ্জ, সন্তোষপুর, রামখানা ইউনিয়নের ব্যাপারীহাট, নিলুরখামার, গোপালপুর, ধনী গাগলা, শিয়ালকান্দা, আমতলা, উত্তম খানা, গাগলা, তালেবেরহাট, কুটি নাওডাঙ্গা এলাকাসহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়াও সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৃষ্টি মডেল পাবলিক স্কুল ও সূর্যমুখী শিশু নিকেতনসহ কয়েকটি স্কুল, মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। রাতের অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। ব্রিজের করুণ অবস্থা হওয়ায় ভয়ে স্কুলেও যেতে চায় না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যেনো এসব এলাকার মানুষের ভাগ্যের বিপরীতে এই ব্রিজ। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কাজ, হাটবাজার করাসহ বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত বড় কষ্টের। তাদের দাবি অবিলম্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে রাস্তাটির পাকাকরণের কাজও দ্রুত শেষ করা হোক।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ, হাসেম আলি, বাবলু জানায়, এ ব্রীজ দিয়ে ভাড়ি কোন যানবাহন পাড় করা যায় না। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিয়ে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়েছে। অপরদিকে সংযোগ সড়কটিতে শুধু ক্ষোয়া ফেলে রাখায় চলাচলের অসুবিধে হচ্ছে। এছাড়াও ব্রিজ থেকে সন্তোষপুর নাওডাঙ্গাপাড়া হয়ে তালতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা কাচা থাকায় বৃষ্টিতে হাঁটুকাদা জমে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। অথচ সুদৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, করোনা, অতি বৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যার কারণে গত মার্চ মাস থেকে কাজগুলো আটকে আছে। বর্ষা শেষ হলেই রাস্তার বাকী কাজ করা হবে। এছাড়াও কালভার্ট এবং বাকী এক কিলোমিটার কাচা রাস্তা পাকাকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।