• বৃহঃ. জুন ২৬, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

কুড়িগ্রামে মৌসুমের রেকর্ড বৃষ্টিপাত: জলাবদ্ধতার কবলে অফিস আদালত: ভোগান্তিতে শহরবাসী

সেপ্টে ২৭, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:
ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিস ও আদালত পাড়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় চলতি মৌসুমের রেকর্ড ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ফলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে অফিসপাড়াসহ অনেক এলাকা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হওয়ায় পানি নামছে ধীরে। আর এতে ভোগান্তি বাড়ছে পৌরবাসীর।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ডেনেজ ব্যবস্থা অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। রবিবার শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল জলজট। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারে কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন রোড সর্বত্রই পানি আর পানি। হাঁটু পানিতে রিকশা ও গাড়ি চলছে অনেক ঝুঁকি নিয়ে। ফলে অফিস আদালতগামী মানুষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোর সামনে জমে ছিলো হাঁটু পানি।
হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা শাহিন আহমেদ জানান, এ পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, ডাক্তার, স্বাহ্যকর্মী, শিক্ষকসহ ৭০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই এখানে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
একই অবস্থা চর কুড়িগ্রাম, রৌমারীপাড়া, তালতলা, চর হরিকেশ, পাওয়ার হাউজ পাড়া, ভেলাকোপা, সরদার পাড়া, ছয়ানিপাড়া বস্তি, পিটিআই বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায়। এসব এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে রিকশা চালকসহ শ্রমজীবীদের কাজ।
হাটিরপাড়ের মকবুল ও সরদার পাড়ার আবু সাঈদ মুন্না জানান, পুরনো ড্রেন পরিষ্কারের অভাবে ও কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমাট বেঁধে থাকে ও রাস্তার বেহাল দশার কারণে চলতে অনেক সমস্যা হয়।
কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র আব্দুল জলিল জানান, পাকা ড্রেন সংস্কার ও কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মাণ পরিকল্পনা থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা যাচ্ছেনা। তবে সীমিত সাধ্য সত্বেও তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন বলে দাবী করেন তিনি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় শহর ও গ্রাম এলাকার রাস্তা ও বাড়িঘরে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।