• এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ

অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটানও উপকৃত হবে -কুড়িগ্রামে ভুটানের রাষ্ট্রদূত

মার্চ ১০, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে পাল্টে যাবে এই এলাকার জীবনযাত্রা। অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে কুড়িগ্রামের এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটান উপকৃত হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত এইচই মি. রিনচেন কুয়েন্টসিল।
কুড়িগ্রামে দুদিনের সফরে এসেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত এইচই মি. রিনচেন কুয়েন্টসিল। এ সময় তিনি কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সোনাহাট স্থল বন্দর ও চিলমারী নৌ বন্দর পরিদর্শন করবেন।
রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের ধরলার পাড় পূর্ব পাশে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন, চিপ ট্রেড অফিসার কিনলে ইয়াংজন, ভুটানের ঢাকা এ্যম্বাসির কাউন্সিলর জিকরেল টাসরিন, বেজার মহাব্যবস্থাপক(অর্থ বাজেট) শেখ মোঃ যোবায়েদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, আমরা ১৩৩দশমিক৯২ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছি। আরো ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে। জেলায় সোনাহাট স্থলবন্দর, রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দর, চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান। সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা এটির বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।
উল্লেখ যে, কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। এছাড়া জেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। এতে জেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।