• মে ৯, ২০২৪ ২:১২ অপরাহ্ণ

শান্তির ঠিকানায় ওদের ঈদ আনন্দ

এপ্রি ৯, ২০২৩

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
কখনো বাঁধে, কখনো অন্যের জায়গায় ছিল ওদের বসবাস। ছিলনা নিজস্ব একটি ঠিকানা, মেলেনি একটি ভালো থাকার ঘর। অবশেষে চুতুর্থ পর্যায়ে আরো ১১০ পরিবারের আশ্রয় মিললো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘরে। এবারে তারা ঈদ আনন্দ করবে নিজস্ব একটি ঠিকানায়। শান্তির ঠিকানায় সুখের বাতাসে বইছে তাদের ঘরে। ধিরে ধিরে চিলমারী উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর পেয়ে একটি নিজস্ব ঠিকানা পেয়েছে। আর নেই উচ্ছেদের ভয় বা অন্যের দেয়া হুমকি।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হওয়ায় হাজারো পরিবার বাড়িঘর, জমি হারিয়ে হয়েছিল নিঃস্ব। অবশেষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধিনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার পেয়ে শতশত পরিবারের মাঝে বইছে সুখের হাওয়া। এরই ধারবাহিকতায় আরো ১১০ পরিবার নতুন করে পেল সুখের ঠিকানা। পেয়েছে জমিসহ পাকা ঘর। এবারে তাদের ঈদ আনন্দ হবে নিজস্ব ও শান্তির ঠিকানায় একটি পাকা ঘরে। জমিসহ ঘর পেয়ে পরিবার গুলোর মাঝে বইছে সুখ আর আনন্দ। এবারের ঈদুল ফিতরে তাদের ভাগ্যে জমিসহ পাকা ঘর যুক্ত হওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে হাঁসি। কথা হলে উচাভিটা এলাকার খোতেজা, সজিবসহ বিভিন্ন এলাকার সুবিধাভূগিরা জানান, ছিলনা কোন জায়গা, থাকার জন্য কোন ভালো ঘর, কখনো বাঁধে, কখনো অন্যের জায়গায় জীবন যেন ছিল যাযাবরের মতো, সরকার এখন হামাক জমিসহ ঘর দিছে, নিজস্ব একটা স্থান হইছে, থাকি এখন পাকা ঘরে আর এবারের ঈদ নিজস্ব একটি জায়গায় পাকা ঘরে করমু এটা কত যেন আনন্দের তা বোঝাতে পাবার নইরে বাবা। সুবিধাভূগি রুবি আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোর জমিও দিছে পাকা ঘরও দিছে মুই খুব শান্তিতে আছোং। অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে আবারো ১১০ পরিবার জমিসহ ঘর পেয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল ইউনিয়নে ৫২, রানীগঞ্জে ৯, থানাহাটে ৪২ ও নয়ারহাট ইউনিয়নে ৭ পরিবার জমিসহ ঘর পেয়েছে। থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, এই অঞ্চল নদী ভাঙ্গন কবলিত অঞ্চল আওয়ামী লীগ সরকার ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প হাতে নেয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ যেমন ফিরে পাচ্ছে শান্তি, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর পেয়ে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলো পেয়েছে শান্তির নিবাস। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে আরো ১১০ পরিবার যুক্ত হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধিনে, এতে করে গৃহহীন পরিবার গুলো পেয়েছে একটি স্থায়ী ঠিকানা। কথা হলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেয়া উপহার পেয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার গুলো আজ দেখছে সুখের ঠিকানা।