• মে ৫, ২০২৪ ৮:০৩ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামের ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সেপ্টে ১৫, ২০২২

অনাস্থা ভোটে ১১-২ ভোটে পরাজিত চেয়ারম্যান শফিউল আলম

বিশেষ প্রতিবেদক:
সীমহিীন দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপট, ভিজিএফ ও ভিজিডির মাল আত্নসাৎসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফির বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির নামে ভিজিএফের চাল আত্নসাৎ করার চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। ইউপি সদস্যদের অনাস্থা’র অভিযোগের পেক্ষিতে নাগেশ^রী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। চেয়ারম্যানসহ অপর ১২জন ইউপি সদস্য ভোট প্রদান করে। ভোট গণনা করে ১১-২ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। নাগেশ^রী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাশাহাদৎ হোসেন এ ফলাফল ঘোষনা করে।

নাগেশ^রী উপজেলার ৯নং ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার,অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ১১জন ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নাগেশ^রী উপজেলা পষিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে রিপোর্ট দাখিল করেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় অনাস্থা গ্রহনের ধারাবাহিক নিয়ম অনুসরণ করে বুধবার ভিতরবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়।

নাগেশ^রী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাশাহাদৎ হোসেন ভোট গ্রহনের পূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ব্যাপরীর (৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার) সভাপতিত্বে এক সমঝোতা বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ আলোচনায় কোন সুরাহা না হওয়ায় নিয়ম মোতাবেক ব্যালটের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। সন্ধ্যায় ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে চেয়ারম্যানের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১১টি এবং চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট পড়ে চেয়ারম্যানের ভোটসহ ২টি।

তদন্ত কর্মকর্তা এবং নাগেশ^রী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাশাহাদৎ হোসেন জানান, ভোটের ফলাফল তৈরী করে বৃহস্পতিবার নাগেশ^রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট দাখিল করেছেন। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তপক্ষ নেবে।

এ ব্যাপারে চেয়াম্যান শফিউল আলম শফি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র হচেছ। আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েওে সুষ্ঠুভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। এটি গণতন্ত্রের পরাজয়। জনগণের রায়কে সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।

উল্লেখ্য,লিখিত অভিযোগে জানাযায়, মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো ঈদের সময় তালিকা ভুক্ত দু সহস্্রাধিক দু:স্থ মানুষকে ভিজিএফের চাল না দিয়ে আত্নসাৎ করেন চেয়ারম্যান। মৃত ব্যক্তির নামে ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ, একই ব্যক্তির নামে এবং একই পরিবারে একাধিক কার্ড প্রদান। অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তির নামে ভিজিএফ বরাদ্দ। ট্যাক্সের টাকা আত্নসাৎ,বিধি বহিরভুত ভাবে হাট ইজারা প্রদান করা, গেজেট ছাড়াই ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন। ছেলের দখলে ইউনিয়ন পরিষদের ২টি রুম নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা। ইউপি সদস্যদের বসার রুমে অবৈধ ট্যাক্স আদায়কারীদের আবাসনের ব্যবস্থা।