• মে ১৭, ২০২৪ ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামে সার কীটনাশক সংকট

আগ ২৭, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট: কুড়িগ্রামে সার ও কীটনাশকের সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু অসাধু বিক্রেতা সংকটের অযুহাতে দেড় থেকে দু গুণ দামেও সার-কীটনাশক বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে চাহিদা মোতাবেক বরাদ্দ কম হওয়ায় এই সংকট তৈরি হলেও কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।
জানা যায়, ইউরিয়া ও টিএসপি ৮০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ২০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকার স্থলে ৯০০ টাকা, এমপিও (পটাশ) ৮৫০ টাকার স্থলে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে বাড়তি দাম দিয়েও সার পাচ্ছেন না কৃষকরা।
হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের ও রফিক মিয়া বলেন, ‘৭৫০ টাকার এমওপি (পটাশ) সার বাজারে ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরপরও সার পাইনি। ডিলারের ঘরেও সার পাওয়া যাচ্ছে না।’ সারের দাম বাড়লো, তেলের দাম বাড়লো, ধানের দাম তো সে তুলনায় বাড়ছে না। আমরা বিপদে পড়েছি। সার না পাওয়ায় আমন আবাদ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
তবে সারের ডিলার কাইয়ুম মোল্লা বলেন, ‘বাজারে সারের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগটা সত্য নয়। তবে আমরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাইনি। এ কারণে সংকট দেখা দিয়েছে।’
কুড়িগ্রাম ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় সারের সংকট চলছে। এ কারণে সারের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় এ সংকট। সরকার ঘোষিত সারের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ডিলাররা সার বিক্রি করছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা হয় তো একটু বেশি দামে সার বিক্রি করছে। আমরা এটার জোর মনিটরিং করছি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও কোনো সমস্যা হবে না।