• মে ৯, ২০২৪ ৫:২৫ অপরাহ্ণ

রাক্ষসী রুপে তিস্তা ॥ ১সপ্তাহের ব্যবধানে ২শতাধিক বাড়িঘর বিলীন

জুলা ৩০, ২০২২

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
ভাঙ্গছে তিস্তা রুপ নিয়েছে রাক্ষসী। নিমিশেই গিলে খাচ্ছে শতশত বাড়িঘর গ্রামের পর গ্রাম। তিস্তার পাড় জুড়ে চলছে আহাজারি। বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। সদ্য নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবাদের স্থান এখন খোলা আকাশের নিচে। তিস্তার তান্ডবে ১সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে। বিলীন হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙ্গনের মুখে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতশত বাড়িঘর ও কয়েক’শ একর ফসিলি জমি। বরাদ্দ হলেও ফেলানো হচ্ছেনা জিও ব্যাগ। এছাড়াও নদী ভাঙ্গনে সামান্য দুর থেকেই বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের রুপ নিচ্ছে ভয়াবহ। নজর নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যাচ্ছে দিন কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে তিস্তার পাড়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পাত্রখাতাসহ সীমান্তবর্তী সুন্দরগঞ্জের কারেন বাজার এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও তীব্র স্রোতে রাক্ষসী রুপ ধারন করেছে তিস্তা। তিস্তায় থাবায় ১ সপ্তাহের ব্যবধানে চরমাদারীপাড়া এলাকার প্রায় ২শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে বেশকিছু বাড়িঘর। ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িঘর সরাতেও হিশশিম খাচ্ছে মানুষজন। চোখের সামনে বাড়িঘর ভাঙ্গতে দেখে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষরা চোখের জল ধরে রাখতে পাচ্ছেনা। কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে তিস্তার পাড় চলছে আহাজারি। অনেক কষ্টে বাড়িঘর সরালেও থাকার স্থান ও জায়গা না থাকায়, থাকতে হচ্ছে তাদের খোলা আকাশের নিচে। ইতি মধ্যে শতশত বাড়িঘরসহ কয়েকশত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষরাও পড়েছে হতাশায়। ভাঙ্গনের তীব্রতা অব্যাহত থাকায় পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে বাঙ্গনের মুখে। ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা থাকলেও ভাঙ্গনের সামান্য দুরেই বসানো হয়েছে ড্রেজার উঠানো হচ্ছে বালি ফলে ভাঙ্গনের রুপ নিয়েছে আরো ভয়াবহ। সদ্য নদী ভাঙ্গনের শিকার গনি, সুবল, রফিকুল, নয়া, বাহার উদ্দিনসহ অনেকে জানান, নদী তো ভাঙ্গি নিলো এহন আমরা কই যামো, বউ ছাওয়া নিয়ে থাকমো কই। তারা আরো জানান, সময় মতো জিও ব্যাগ ফেলানো হলে আজ আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্গত না। আমরা হয়তো আজও নিজের বসতবাড়িতে বাস করতাম। তারা এই জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ি করেন। পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. আঃ আজিজ আকন্দ বলেন, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শতশত মানুষ আজ দিশাহারা হয়ে পড়েছে, এমনত অবস্থায় দ্রুত এর প্রতিকার করা না হলে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে হুমকির মুখে পড়বে চিলমারী উপজেলা সদর। কথা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উক্ত এলাকায় ভাঙ্গন রোধে ৭০ হাজার জিও ব্যাগের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে গননা শেষে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হবে।