দেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে বর্তমানে বিবাহিত ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবাহিত নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী। তবে দাম্পত্য বিচ্ছিন্নে ০.৪৬ শতাংশ নিয়ে এগিয়ে খুলনা। তবে তালাকের হারও বেশি রাজশাহীতে, যা ০.৬১ শতাংশ।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বরিশালে ২৭.২০ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৬.৬৬ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক ৫.৫৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.২৯ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩১ শতাংশ।
চট্টগ্রামে ৩২.৫৭ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬১.৬৭ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক রয়েছে ৫.১৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৩০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন রয়েছে ০.৩২ শতাংশ।
ঢাকায় ২৮.৯৩ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৫.৬৩ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক রয়েছে ৪.৬৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন রয়েছে ০.৩২ শতাংশ।
খুলনায় ২৪.৫২ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৮.৮৫ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক ৫.৬২ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৫৫ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৪৬ শতাংশ।
ময়মনসিংহে ২৭.৭৫ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৫.৭৪ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক ৫.৭৬ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪০ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৫ শতাংশ মানুষ।
রংপুরে ২৫.৭৮ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৬৭.৬৫ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক ৫.৮৪ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৩ শতাংশ এ৮বং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৫ শতাংশ মানুষ।
সব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবিবাহিত সিলেটে। যা ৩৭.৭৭ শতাংশ অবিবাহিত, বর্তমানে বিবাহিত ৫৫.৫৯ শতাংশ, বিধবা বা বিপতœীক ৫.৮১ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত ০.৪৩ শতাংশ এবং দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন ০.৩৯ শতাংশ মানুষ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো: দিলদার হোসেন।
সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।