• মে ৯, ২০২৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ঝরে পড়া শিশুদের মুল স্রোতে ফেরাতে শিক্ষা কর্মসুচী

জুলা ৭, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রহ্মপুত্র পাড়ের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের স্কুলে ভর্তি না হওয়া ও ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে একযোগে চর রাজিবপুর উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে ৩১টি শিখন কেন্দ্রের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার বটতলা উপানুষ্ঠানিক শিখনকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় এই কর্মসুচী বাস্তবায় করছে স্থানীয় এনজিও সেন্টার ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট কুড়িগ্রাম (সিএসডিকে)।
চর রাজিবপুর উপজেলার বটতলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষন কেন্দ্র উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত চক্রবর্ত্তী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চর রাজিবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, সিএসডিকে নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার, সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসেন, আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের উপজেলা প্রোগ্রাম ম্য্যানেজার মো. হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
সেন্টার ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট কুড়িগ্রাম (সিএসডিকে) এর নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার জানান, আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ৩ বছর মেয়াদী এই শিখন কেন্দ্রগুলোতে ৮ থেকে ১৪ বছরের যে শিশু কখনো স্কুলে যায়নি বা বর্তমানে স্কুলে যায়না এমন শিশুকে অর্ন্তভুক্ত করে শিক্ষার মূল স্রোতে ফেরানো হবে।
তিনি আরো জানান, কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে শিক্ষা থেকে বাদ পড়া বা ঝঁড়ে পড়া শিশুদের স্কুল মুখি করতে ৩১টি শিখন কেন্দ্রে মোট ৯৩০জন ঝরে পড়া শিশু পড়াশোনার সুযোগ পাবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক থাকবেন এবং প্রতি ১০টি শিখন কেন্দ্র মনিটরিং এর জন্য ১ জন করে সুপারভাইজার সহ উপজেলা প্রোগাম ম্যানেজার নিয়োজিত থাকবেন।