• শুক্র. মে ৯, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

চিলমারীতে বন্যায় ঘর ছাড়া চিলমারীর শতশত পরিবার

জুন ২২, ২০২২

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
ব্রহ্মপুত্রের পানি চলছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। বিপদ কাটেনি চিলমারীর। দুশ্চিতায় বানভাসী। ঘরছাড়া হয়েছে শতশত পরিবার। বিপাকে রয়েছে ঘরছাড়া পরিবার গুলো। ত্রাণ বিতরন শুরু হলেও নজর পড়ছেনা বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসীদের উপর। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয়া বানভাসীদের বাড়ছে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব। বেড়েই চলছে কষ্ট করছে মানবেতর জীবনযাপন। যুবতি, কিশোরী মেয়েসহ গরু, ছাগল নিয়েও দুশ্চিতায় দিন পার করছে ঘর ছেড়ে আসা শতশত পরিবার।
জানা গেছে, বন্যার পানি চারদিকে ঢুকে পড়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারীর বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ রয়েছে পানিবন্দি হয়ে। বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। টানা বৃষ্টি সাথে উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার পেড়িয়ে শুরুতেই তলিয়ে নেয় নদের তীরবর্তী অঞ্চলসহ বাঁধের আশপাশ এলাকাগুলো। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বন্যায় আক্রান্ত মানুষজন ছাড়তে শুরু করে আশ্রয় স্থান। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন পাশ্ববর্তী বাঁধ ও উঁচু স্থানে। উপজেলার পাত্রখাতা থেকে ফকিরেরহাট পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী এবং বাঁেধর নিচে বসবাসরত কয়েশত পরিবার বন্যার থাবায় ছেড়েছে বাড়িঘর, আশ্রয় পেতেছে বাঁধে। শতশত পরিবার বাঁধে তাবু, পলিথিন, চালা দিয়ে করছে মানবেতর জীবনযাপন। বন্যার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে আসা মানুষজনের আবার ভিজতে হচ্ছে বৃষ্টি আর পুড়তে হচ্ছে রোদে যাকে বলে মরার উপর খড়ার ঘায়ের মতো। কষ্টের উপর কষ্টে থাকলেও তাদের ভাগ্যে মেলেনি সাহায্য। বন্যার কারনে হাতে কাজ না থাকায় বাঁেধ আশ্রয় নেয়া দিনমজুর পরিবার গুলো দিন পাড় করছে খেয়ে না খেয়ে। এর উপর আবার যুবতি, কিশোরী মেয়েদের নিয়ে রয়েছে নানান দুশ্চিন্তা। বাঁেধ আশ্রয় নেয়া রমনা মিস্ত্রী পাড়ার জামেলা, বোলো,আমিনুল বলেন, বাড়ি ঘরে পানি প্রায় সপ্তাহ থেকে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছি কিন্তু কোন সাহায্য দেয়া তো দুরের কথা কোন খবরও নিলো না কেউ। এসময় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বাঁেধর মানুষ যে কতটুকু সমস্যা আর কষ্টে থাকে তা কি কেউ বোঝে, সকলে খালি চর নিয়ে ব্যস্ত। তারা আরো বলেন, চরের মানুষের তো জমিজমা এবং ব্যবস্থা আছে কিন্তু বাঁেধ মানুষের তো তাও নাই। ত্রাণ সঠিক ভাবে বন্টন হয়না মন্তব্য করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সত্যি কথা বলতে কি সকলে চর নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু বাঁধের পাশের আর নদীর তীরবর্তী এবং উপজেলা সদরের আশপাশের মানুষ বন্যায় যে কত কষ্টে থাকে তা কেউ বুঝতে চায়না। বন্যায় আক্রান্ত কোন মানুষের ভয়ের কোন কারন নেই জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার সব সময় বন্যার্ত মানুষের পাশে ছিল এবং আছে, আমরা সরকারী নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি এবং সব সময় তাদের পাশে আছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও তা এখনো বিপদ সীমার ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল (বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত)।