• এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ

সড়ক মেরামত ও ড্রেন নির্মান কাজে অনিয়ম

এপ্রি ১৮, ২০২২
চিলমারী, সড়ক মেরামত, ড্রেন নির্মান, অনিয়ম, দুর্নীতি

চিলমারী প্রতিনিধিঃ ড্রেন নির্মানে নিন্মমানের পুরাতন ইট বিছিয়ে ভিটি মাটি দিয়ে ফিলিংসহ রাবিশ নিন্মমানের  খোয়া ও পরিমানে কম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। একাধিক বার বললেও নজর দেয়নি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্বাবধানে চিলমারী  উপজেলার রমনা রেলস্টেশন থেকে চিলমারী সরকারী ডিগ্রী  কলেজ মোড় হয়ে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজ পর্যন্ত ১কোটি ৫০লক্ষ টাকা চুক্তিমুল্যের ২কি.মি রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নওগাস্থ আমিনুল হক নামে একজন ঠিকাদার কাজটি পেয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এর মধ্যে চিলমারী সরকারী কলেজ মোড় কবরস্থান থেকে ড্রেনের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেখানে ড্রেনের ছলিং এ নিন্মমানের পুরাতন ইট বিছিয়ে ভিটি মাটি ও পানি দিয়ে ফিলিং করা হয়। এ অনিয়মের জন্য শনিবার স্থানীয়রা কাজে বাধা দিলে কিছুক্ষনের জন্য কাজ বন্ধ থাকে। এসময় স্থানীয় মাসুম, হিমু, আপনসহ এলাকাবাসী অনেকেই জানান, পুরাতন নিন্মমানের ইটের ছলিং বিছিয়ে তার উপরে ভিটি মাটি দিয়ে পানি দিচ্ছে তাতে ছলিং এ কাদা জমে থাকছে এবং নিন্মমানের খোয়া দিয়ে সিসি ঢালায়ের কাজ করছে। এভাবে কাজ করলে অল্প দিনের মধ্যে ড্রেন নষ্ট হয়ে যাবে। একই এলাকার সবুজ, পলাশ, সাজু, ফারুকসহ অনেকে জানান রাস্তার এক পাশ্বে ড্রেন দিলেও অপর পাশ্বে কত পরিমান জায়গা ব্যাবহার করা হবে সে বিষয়ে কোন সমাধান না করেই তরিঘড়ি করে দায়সাড়াভাবে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেনের কাজ শুরু করা হলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারী নেই। তারা আরও বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন তত্বাবধান নেই। এলাকাবাসীর কথার মুখে দায় এড়াতে রোববার দুপুরের পর রফিকুল ইসলাম নামের একজন কার্যসহকারীকে পাঠানো হলেও তিনি কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন,ওই ইট বাদ রেখে নতুন ইটে কাজ করতে বলা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির হামিদ জানান, রাস্তা থেকে উঠানো ইট কাজের উপযোগী হলে তা দিয়ে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। তবে কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আছেন তিনি সবকিছু দেখবেন। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান তিনি বিষয়টি জানার পর নতুন ইট দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন তিনি লিখিত কোন অভিযোগ পাননি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।