• এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের চরাঞ্চলে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

এপ্রি ১৩, ২০২২

কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও হাই স্কুল নেই বললেই চলে। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে ছেলে শিক্ষার্থীরা নদী পাড়ি দিয়ে মুল ভূখণ্ডে এসে পড়াশোনা করতে পারলেও মেয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ঝরে পরে। কিংবা বাল্য বিয়ে হয়ে যায়। এ কারণে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরে একটি হাই স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার দিনভর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাশিদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম ব্রহ্মপুত্রের চর ভগবতি পুর, পোড়ার চর, ঝুনকার চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ঘুরে দেখেন। তারা স্কুল প্রতিষ্ঠার সম্ভবতা যাচাই, সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও স্থানীয় চরবাসীদের চাহিদা নিয়ে চরবাসীদের সাথে আলোচনা করেন।
এ টিমে অংশ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ ফিজানুর রহমান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জহুরুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী, যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলমগীর, ওয়ান বাংলাদেশ কুড়িগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শাহানাজ বেগম নাজু, উন্নয়ন সংগঠন ফ্রেন্ডশীপের শিক্ষা প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাশিদুল হাসান জানান, চরের শিশুদের জন্য হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে এলাকাবাসী অংশীদার হয়ে স্কুল স্থাপনে ভূমিকা রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করেছি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এর অবকাঠামোর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, সদর উপজেলার চরাঞ্চল দিয়ে আমাদের এই প্রচেষ্টা শুরু হচ্ছে। আগামীতে শুধু ব্রহ্মপুত্র নয়, ধরলা-তিস্তাসহ বিভিন্ন নদী বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। তবে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চরাঞ্চলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসারে বেসরকারী কিংবা ব্যক্তিগত ও স্থানীয় উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।