কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোঃ খুরশীদ আলম বলেন, টিকা সংগ্রহ ও পাওয়াটা আমাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। এটা টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক যে রাজনীতি তার উপর নির্ভর করে। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে আমরা দ্রæততম সময়ে সকলকে টিকার আওতায় আনবো। গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দেয়া হবে।
চিকিৎসক সংকট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের সবগুলো জেলায় চিকিৎসক সংকট রয়েছে। অতি শীঘ্রই আরো সাড়ে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। আমরা নতুন নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের তাদের নিজ জেলায় পদায়নের চেষ্টা করবো। ৫০ বেডের যে সকল হাসপাতালে অপারেশনের সুযোগ রয়েছে সেখানে এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক দেয়া হবে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এগুলো খতিয়ে দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তার এ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসা সেবায় নজর দেয়া হয় না। এ জন্যই তার এ সফর।
তিনি আজ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম, রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রংপুর মহাখালি স্বাস্থ্যবিভাগের পরিচালক ডা: মিজানুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা: মোতাহারুল ইসলাম, ঢাকাস্থ পরিচালক ডা: নাজমুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শহীদুল্ল্যাহ লিংকন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. নজরুল ইসলাম, রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান, বিএমএ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি ডা: নাসির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ডা: লোকমান হাকিমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।