• মে ৪, ২০২৪ ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

ফুলবাড়ী হাসপাতালে অনিয়ম দুর্নীতি

ডিসে ১, ২০২০

রবিউল ইসলাম বেলাল, ফুলবাড়ী:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক আজিজুল হক গত ১৯ নভেম্বর ২০১৪ সালে যোগদানের পর থেকে দুর্নীতি অনিয়ম ও টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানাযায়, ফুলবাড়ী হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক (নিজ বেতনে) আজিজুল রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা হাসপাতালের গত ৩০জুন/২০ এ্যাম্বুলেন্স মেরামত বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০, এর প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বাবদ প্রায় ৮ লাখ টাকা (ভ্যাট-ট্যাক্স) সহ নামে মাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলন করার সময় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে ভাতা প্রদান করে। গত জুন ২০২০ সালের হাসপাতালের ঔষধ পত্রের টেন্ডারের চাহিদা মেডিকেল অফিসারগণ তৈরি করে থাকেন। সেখানে অফিসারগণ তালিকা দিলেও আজিজুল হক তা পরিবর্তন করে নিজে ঔষধ পত্রের চাহিদার তালিকা তৈরি করেন।
এ্যাম্বুলেন্স চালক একাব্বর আলী জানান, গাড়ি মেরামত বাবদ গত ৩০ জুন ২০২০, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার রিসিপে স্বাক্ষর চায়, আমি তাহা না করিলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে শোকজ করে।
অফিস সহায়ক মতিয়ার রহমান জানান, শ্রান্তি বিনোদনের ভাতা উত্তোলন ও শীতকালীন পোশাকের জন্য ৩ হাজার টাকা দিয়েছি।
সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহজাহান আলী ও ঊষা রাণী জানান, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলন করার জন্য আমাদের কাছ থেকে আজিজুল হক ২ হাজার টাকা করে নিয়েছে।
ওয়ার্ড বয় উজ্জ্বল সিং জানান, আমার কাছ থেকে অফিস সহকারী শ্রান্তি বিনোদনের ভাতার করার জন্য ১ হাজার টাকা নিয়েছে। সে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত।
রেদওয়ান আলম রেজা জানান, বিভিন্ন বিল করার সময় অনেক হয়রানি করে আবার টাকা দিলে তাড়াতাড়ি করে দেয় তবে সে অনেক দুর্নীতির সাথে জড়িত।
মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজু মিয়া জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আজিজুলের হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী ভালো জানেন।
অভিযুক্ত আজিজুর রহমান জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ বানানো ও সাজানো। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামসুন্নাহার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ‘তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে।