• রবি. মে ১১, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাকো তৈরী

অক্টো ৪, ২০২০

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: বন্যার পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে চলাচলের একমাত্র রাস্তা। প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ এবং ২০ ফুট গভীর খালের সৃষ্টি হওয়ায় নৌকা বা কলাগাছের ভেলা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এপাড় ওপাড় হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। রাস্তা ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেনি কেউই। অবশেষে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাড়ী বাড়ী গিয়ে চাউল, বাঁশ, টাকা সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খালের উপর তৈরী করেছে বাঁশের সাকো। আর নির্মিত বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি, কাগজিপাড়া, আগগ্রাম, পাঁচগ্রাম, আলগার চরসহ ফুলবাড়ীর ভুখন্ডের সাথে যুক্ত, ধরলা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরাঞ্চল হলোখানা গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা।

গত রোবববার সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় চল্লিশজন যুবক-তরুণকে চলাচলের রাস্তার খালের উপর বাঁশের সাকো তৈরী করতে দেখা যায়। খালের পানিতে নেমে বাঁশের খুটি বসানোর কাজে ব্যস্ত থাকা ওই এলাকার আজিজুল হক (৪২) বাদল মিয়া (৩০) কাশেম আলী (৫২) ও মোস্তফা মিঞা (৩৬) জানান, পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা নদীর কারনে তারা জেলা সদরসহ গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য পুর্ব প্রান্তের এই রাস্তাটিই তাদের একমাত্র পথ। এবারের প্রথম দু-দফা বন্যায় রাস্তাটির কিছু অংশ ভাঙ্গলেও মেরামত করে কোন রকমে চলাচল করত এলাকাবাসী। কিন্তু ১৫ দিন আগের তৃতীয় দফা বন্যায় সম্পুর্ন রাস্তা ভেঙ্গে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। খাল ভরাটের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করলেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে সাকো তৈরীর কাজ চলাকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু এসে দেখে গেখেন।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু বলেন, নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরীর খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীকে উৎসাহ দিয়েছি। সামনে বরাদ্দ এলে সবার আগে ওই খাল ভরাট করে রাঙ্গামাটি বাসীর চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।