• মঙ্গল. জুন ২৪, ২০২৫

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

চিলমারীর রাজারঘাট ব্রীজ যেন মৃত্যু কূপ

অক্টো ৩, ২০২০

চিলমারী প্রতিনিধি:
উন্নয়ন ধারা এগিয়ে গেলেও এগিয়ে যায়নি চিলমারী। বন্যাসহ নানা দুর্যোগে উন্নয়নের চাকা আটকে যাওয়ার সাথে প্রায় দেড় বছর ধরে রাজারঘাট ব্রীজটি রয়েছে মৃত্যু কূপ হয়ে। মাসের পর মাস ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছে হাজারো মানুষ। প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগে এলাকাবাসী। নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার সদর থেকে রানীগঞ্জ যাওয়ার প্রধান সড়কে অবস্থিত বুরুজের পাড় এলাকার রাজারঘাট ব্রীজটি। বুড়ি তিস্তার খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি’র দু’পাশে গাইট ওয়াল না থাকায় গত বছরের বন্যার পানির তোড়ে ব্রীজের দু’পাশের মাটি ধসে রাস্তা ভেঙ্গে যায় এবং যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এসময় এলাকাবাসী বাঁশের চাটাই দিয়ে মানুষজনের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। পরে প্রশাসনের সহযোগীতায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে বস্তা ফেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও ব্রীজটি’র দু’পাশে ছিল মৃত্যু ফাঁদ। প্রায় দেড় বছরেও মেরামতের কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চলতি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে আবারো দু’পাশের মাটি ধসে ব্রীজটি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হওয়ায় বিপাকে জনসাধারন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন ও মানুষজন। ব্রীজের কাছে এলেই বড় ডর করে মন্তব্য করে ব্যাপারী বাজার এলাকার বাবু বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ রানীগঞ্জ বাজারসহ উলিপুর যাতায়াত করে কিন্তু এই ব্রীজের সামনে এলেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায় আর মনে হয় এই পড়ে গেলাম। এলাকার মাহমুদুল বলেন, ব্রীজটি ১বছরের বেশি সময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনদিন ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি আরো জানান, এছাড়াও প্রায়দিন ঘটছে নানান দুর্ঘটনা। ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও মৃত্যু ফাঁদ স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটি দেড় বছরেও ভালো না করায় উক্ত রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটো, নছিমন চলাচল করতে গিয়ে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, দায়িত্বরতদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নুতুন এসেছি বিষয়টি আমার জানা নেই। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, এর আগে কিছু বস্তা দেয়া হয়েছিল এবং এর দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।