সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী:
বন্যা কেড়ে নেয় ফসল বাড়িয়ে দেয় দুর্ভোগ, আগুন ধরলে পুড়ে বাড়িঘর, ঝড় হলে ভেঙ্গে পড়ে বাড়িঘর কিন্তু নদী ভাঙ্গন কেড়ে নেয় ভিটামাটি গিলে নেয় সাজানো সংসার, সবকিছু কেড়ে নিয়ে করে দেয় নিঃস্ব। বারবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া পরিবার গুলো সবকিছু হারিয়ে থাকে সরকারী বার অন্যের সহায়তার আশায়। বছরের প্রতিটি সময় বেশি করে টানা বৃষ্টি সাথে পানি কমা বাড়ার সময় ব্রহ্মপুত্র রুপ নেয় ভয়ঙ্কর আর গিলতে থাকে ভিটামাটি, অসহায় হয়ে পড়ে নদীর তীরবর্তী, চরাঞ্চলের মানুষসহ চিলমারীবাসী। টানা বৃষ্টিতে সদ্য লাগানো বাদাম ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের কৃষক।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টি, উজানের ঢল সাথে পানির তোড়ে ফুলে উঠতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের রুপ ভয়ঙ্কর ধারন করতে শুরু করেছে আর সেই সাথে গিলতে শুরু করেছে নদীর তীরবর্তী এলাকার ভিটামাটিসহ শতশত একর ফসলি জমি। নতুন করে ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ, পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছে বিপাকে। টানা বৃষ্টি উজারের ঢলে আবারো ব্রহ্মপুত্রে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় উপজেলার অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে ভিটামাটি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বৃষ্টির সাথে পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সরকারী স্থাপনাও রয়েছে ভাঙ্গনের মুখে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে চিলমারী ইউনিয়নের বিশারপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, ঢুষমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কড়াইবাড়িশাল নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদ্য নির্মান কাজ চলমান মুজিবকেল্লা, হাটবাজারসহ শতশত বাড়িঘর। নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলো জানান, বন্যা আসলে দুর্ভোগ হয় ফসল নষ্ট হয়, আগুন ধরলে পুড়ে যায় কিন্তু ভাঙ্গন ভিটামাটিসহ কেড়ে নেয় সাজানো সংসার করে দেয় পথের ফকির। প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে স্বীকার করে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে পরিকল্পনা মতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে হাজার হাজার ফসলিজমি বিলিনসহ পুরো চরাঞ্চলবাসী হারিয়ে ফেলবে তাদের ঠিকানা, বিলিন হবে সরকারী স্থাপনা বৃদ্ধি পাবে নিঃস্ব মানুষের সংখ্যা। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারসহ স্থানীয়রা ভাঙ্গন রোধে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ভাঙ্গন রোধে পরিকল্পনা মতাবেক সঠিক ব্যবস্থা নেয়া না হলে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, নদী বন্দরসহ পুরো চিলমারী পড়বে হুমকির মুখে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন বলেন, ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপ নেয়ার কারনে ভাঙ্গনের ধরন পরিবর্তন হয়ে থাকে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কথা বলবো।
ব্রহ্মপুত্র গিলছে ভিটামাটি: নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
