• নভেম্বর ২১, ২০২৪ ৫:০৬ অপরাহ্ণ

Sakaler Kagoj

The Most Popular News Portal

চিলমারীতে পাঁচ শতাধিক মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

আগ ১৪, ২০২২

চিলমারী প্রতিনিধি:
বছরের পর বছর কমছে না দুর্ভোগ বেড়েই চলছে ভোগান্তি। আছে গ্রাম আছে শতাধিক পরিবার শান্তি থাকলেও নেই সুখ। কষ্ট, দুর্ভোগ আর ভোগান্তির প্রধান কারন প্রায় ৫শতাধিক মানুষের নেই বের হওয়ার পথ। ভরসা তাদের বাঁশের সাঁকো। বর্ষায় বাড়ে দুর্ভোগের সাথে কষ্ট, বন্যায় ভরসা কলার ভেলা বা নৌকা। চিলমারী পাত্রখাতা মাদুমন্ডলের গ্রামের বাসীন্দারা উন্নয়ন ছোয়া থেকে বঞ্চিত।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার পাড়া মাদুমন্ডলের গ্রাম। গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের বাস। ফুলে ফলে ভরা গ্রামের মানুষের শান্তি থাকলেও মনে নেই সুখ। সকল ব্যবস্থা থাকলেও একটি মাত্র ব্রীজের অভাবে বছরে পর বছর থেকে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলছে তাদের ভোগান্তির জীবন। চারদিকে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫কিঃ মিঃ দুরে অবস্থিত গ্রামটি রয়েছে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাড়াপাড় করা গেলেও বর্ষায় বাড়ে দুর্ভোগ আর বন্যায় ভরসা হয় নৌকা বা ভেলার। মাত্র কয়েক মিটার একটি ব্রীজের অভাবে কষ্টের শেষ নেই গ্রামবাসীর। এলাকার ইসমেতারা বলেন, এই গ্রামের কোল ঘেসে তিস্তার খালের পথ চলা, তিস্তার পানি দিয়ে অনেক সময় এই এলাকার মানুষজন চাষ করে, শান্তিতে থাকার চেষ্টা করে কিন্তু তিস্তা খালের উপর ব্রীজ না থাকায় শতশত মানুষের মনে নেই সুখ।
গ্রামের মইনুল, এরশাদুল, আমেনাসহ অনেকে বলেন, এই গ্রাম বাসীর ভোগান্তির প্রধান কারন তিস্তা খালের উপর ব্রীজ না থাকায়, শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাড়াপাড় হওয়া গেলেও বন্যা আর বর্ষায় বিপাকে পড়তে হয়।
তারা আরো বলেন, খালের উপর ছোট্ট একটি ব্রীজ করা গেলে কমে যেত দুর্ভোগ আর সুখে থাকতো গ্রামের মানুষ।
মাদ্রাসার শিক্ষক আঃ রাজ্জাক বলেন, গ্রামটি বেশ পরিপাটি কিন্তু নেই সড়ক বা ব্রীজের ব্যবস্থা ফলে দুর্ভোগের দিন যাচ্ছে তাদের। দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিন ঘুরে এসেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত গ্রামবাসীর সমস্যার সমাধান করা হবে।