• মে ৯, ২০২৪ ৪:০৮ অপরাহ্ণ

ফুলবাড়ীতে মরিচের বাম্পার ফলন, খুশী চাষিরা

মার্চ ৫, ২০২৩

সিদ্দিকুর রহমান শাহীন:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের দামের ঝালে খূশী মরিচ চাষিরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ভরা মৌসুমে দ্বিগুন লাভবান হয়েছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার নাওডাঙ্গা, গোরকমন্ডপ, চর-গোরকমন্ডপ, বালাটারী, কুরুষাফেরুষা, গজেরকুটিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শতশত বিঘা জমিতে প্রচুর পরিমানে মরিচের চাষবাদ করেছেন চাষিরা। যে সকল চাষির নিজস্ব কোন জমি নেই, তারাও অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে মরিচ চাষ করে অর্থ উর্পাজন করছেন।
স্থানীয় পাইকাররা ক্ষেতের প্রতি মণ মরিচ ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা কিনে ট্রাক, অটোরিকসা, ভ্যান যোগে কুড়িগ্রাম জেলা শহর, উলিপুর ও লালমনিরহাট শহর, বড়বাড়ী এবং মোস্তফী বাজারে গিয়ে দেশের দুর-দুরান্তের পাইকারদের কছে ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করছেন।
উপজেলার গজেরকুটি গ্রামের মরিচ চাষি মজিবর হোসেন জানান, বিগত ২০ বছরের মত এ বছরও পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচের চাষবাদ করেছেন। এ বছর এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘা থেকে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, এবার ফলনও যেমন বেশি, দামও তেমন বেশি। গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ। মরিচ একটি লাভজনক ফসল।
উপজেলার পূর্বফুলমতি গ্রামের মরিচ চাষি তৈয়ব আলী জানান, টানা ১৫ দিন থেকে মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় যে সকল চাষি ক্ষেতে মরিচ বিক্রি করেননি, তারা চাষি এখন ভাল দাম পাওয়ায় দ্বিগুন লাভবান হয়েছেন।
স্থানীয় পাইকার বিপুল মিয়া ও হাসেন আলী জানান, তারা দুইজনে মিলে এ বছর কৃষকদের কাজ থেকে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা মন দরে কিনে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বড় বড় পাইকারী বাজারে ২হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করছেন। মরিচের চাহিদা ও দাম ভাল থাকা কৃষকদের পাশাপাশি তারাও লারেবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন মরিচ চাষে কৃষকদের যতেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৮০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের ভাল দাম পেয়েও খুশী হয়েছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ মরিচ চাষিদের বিভিন্ন ধরণে পরামর্শ প্রদানসহ সহায়তা করা হয়েছে।